বৃহঃস্পতিবার, ১২ই জুন ২০২৫, ২৯শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • শোক জানিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে বার্তা ড. ইউনূসের
  • দুর্গত এলাকায় খাদ্যসংকট নিরসনে বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছে সরকার
  • ‘বিদেশে সম্পদ পাচারে অভিযুক্ত ধনকুবেরদের সঙ্গে ‘সমঝোতার’ কথা ভাবছে বাংলাদেশ’
  • বিচারপতির বাসভবন, সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
  • মে মাসে ৫৯৭ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬১৪
  • তারেক রহমান চাইলেই দেশে আসতে পারেন
  • প্রধান উপদেষ্টা আজ কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করবেন
  • পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা নিয়ে যা জানালেন প্রেস সচিব
  • পাচারকৃত অর্থ পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করল যুক্তরাজ্য
  • ঢাকার বাতাস আজ ‘সহনীয়’

গাজীপুরে নাতনি ও নানির গায়ে আগুন দেওয়ার ঘটনায় মামলা, স্বজন গ্রেপ্তার

গাজীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত:
১৯ জুন ২০২৩, ১৩:২৫

অপরাধ

গাজীপুর সদর উপজেলার শিরিরচালা গ্রামে পারিবারিক বিরোধের জেরে ১৩ বছরের এক স্কুলছাত্রী ও তার নানির গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় মামলা হয়েছে।

 

১৮ জুন রোববার রাতে ওই স্কুলছাত্রীর বাবা শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় মামলাটি করেন।

 

এদিকে এ ঘটনায় সাব্বির হোসেন (২৬) নামের তাঁদের এক স্বজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি ওই স্কুলছাত্রীর সৎভগ্নিপতি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতেই ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার সাব্বির ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার স্কয়ার মাস্টারবাড়ী এলাকার গোলাম মোস্তাফার ছেলে।

 

 

দগ্ধ নানি–নাতনি হলেন গাজীপুর সদর উপজেলার শিরিরচালা এলাকার শফিকুল ইসলামের মেয়ে সানজিদা আক্তার (১৩) এবং তার নানি ঝালকাঠির নলছিটি থানার কাণ্ডপাশা গ্রামের ইউনুস তালুকদারের স্ত্রী বেবী বেগম (৫৫)। সানজিদা শিরিরচালা এলাকার হাজী নুরুল ইসলাম মডেল একাডেমির সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।

 

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১৮ জুন দুপুরে সানজিদা তার নানি বেবী বেগমের সঙ্গে বিদ্যালয় থেকে বাড়িতে ফিরছিল। পথে তার সৎভাই শুভ ও সৎভগ্নিপতি সাব্বির মোটসাইকেলে করে কাঁঠালবাগান এলাকায় এসে তাঁদের গায়ে পেট্টোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে তাঁদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। দুজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।

 

১৯ জুন সোমবার সকালে শফিকুল ইসলাম বলেন, তাঁর মেয়ে ও শাশুড়ির অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। সকাল থেকে তাঁদের দুজনকেই রক্ত দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, তাঁদের দুজনের শরীরের ৬০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।

 

 

জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাহতাব উদ্দিন বলেন, দগ্ধ সানজিদার বাবা মামলা করার পর রাতেই অভিযান চালিয়ে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।

 

পরিবার সূত্রে জানা যায়, দগ্ধ সানজিদার বাবা শফিকুল ইসলাম প্রথম স্ত্রী মারা গেলে মনিরা বেগমকে বিয়ে করেন। মনিরার প্রথম পক্ষের ছেলে শুভ মিয়া কিছুদিন আগে একটি মেয়েকে নিয়ে শফিকুলের বাড়িতে আসেন।

 

সানজিদা ঘটনাটি তার বাবাকে জানালে তিনি শুভকে বকাঝকা করে বাড়ি থেকে বের করে দেন। এরপর মনিরা বেগমও বাড়ি থেকে চলে যান। শফিকুল সন্তানদের দেখাশোনার জন্য প্রথম পক্ষের শাশুড়ি বেবী বেগমকে তাঁর বাড়িতে নিয়ে আসেন।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর