সোমবার, ২৮শে এপ্রিল ২০২৫, ১৫ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন
  • সরানো হলো আরও এক উপদেষ্টার পিএসকে
  • জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে গণঅধিকার পরিষদ
  • জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস আজ
  • ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা স্থগিত করে প্রজ্ঞাপন
  • মে মাসেই শুরু হচ্ছে শেখ হাসিনার বিচার
  • দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা
  • হজ ফ্লাইট শুরু আজ
  • শিক্ষায় পিছিয়ে থাকায় গৃহকর্মীরা নির্যাতনের শিকার হন
  • জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা কাল

গাইবান্ধায় করতোয়া ছাড়া সব কটি নদ-নদীর পানি কমছে

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

প্রকাশিত:
২৪ জুন ২০২৩, ১৮:০২

ভেলায় করে গন্তব্যে ছুটছে দুই শিশু। ২৪ জুন শনিবার সকালে গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের খারজানি এলাকায়

গাইবান্ধায় করতোয়া নদী ছাড়া সব কটি নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। ২৩ জুন শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে ২৪ জুন শনিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত করতোয়ার পানি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাখালী পয়েন্টে ৬৩ সেন্টিমিটার বেড়েছে। তবে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখ পয়েন্টে ২৩ সেন্টিমিটার, ঘাঘট নদের পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ১৮ সেন্টিমিটার ও তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ পয়েন্টে ১৩ সেন্টিমিটার কমেছে।

 

পানি কমতে শুরু করায় নদীর তীরবর্তী সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার ১৬৫টি চরের নিম্নাঞ্চল থেকে পানি নামতে শুরু করেছে।

 

 

২৪ জুন সকালে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক মুঠোফোনে বলেন, উজান থেকে নেমে আসা ঢলে করতোয়া নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। তবে করতোয়াসহ সব নদীর পানিই বিপৎসীমার নিচে আছে। ২৪ জুন বেলা ১১টার দিকে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার, ঘাঘট নদের পানি ১২৮ সেন্টিমিটার, তিস্তার নদীর পানি ১০২ সেন্টিমিটার ও করতোয়ার পানি বিপৎসীমার ৩৭৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।

 

 

এদিকে চরাঞ্চলের নিচু এলাকা, আবাদি জমি ও রাস্তাঘাটে পানি আছে। রাস্তা ডুবে যাওয়ায় কলাগাছের ভেলায় যাতায়াত করছেন মানুষ। ভেলায় করে শিক্ষার্থীদেরও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।

 

গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান বলেন, কামারজানি ইউনিয়নের খারজানি, পারদিয়া ও কুন্দেরপাড়া গ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে অন্তত ২০০ পরিবার গৃহহারা হয়েছে। এসব পরিবার ভিটামাটি, ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি হারিয়ে বিভিন্ন বাঁধ ও উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর