সোমবার, ৯ই জুন ২০২৫, ২৬শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • আজ থেকে যমুনা ও সচিবালয় এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
  • প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাজ্য সফরে যাচ্ছেন আজ
  • মধ্যরাতে দেশে ফিরলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ
  • ৮ বিভাগেই বজ্রবৃষ্টির আভাস
  • ডিসিপ্লিন মানলেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে যানজট-আইনশৃঙ্খলা
  • দুর্নীতিবাজরা নেই, তাই গরুর দাম কম
  • তেলের দাম কমানো হয়েছে, বাসে বাড়তি ভাড়া নিলেই ব্যবস্থা
  • বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা পেল সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল
  • চার দিনের সফরে যুক্তরাজ্য যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • গুমের ঘটনা নিয়ে একটি হরর মিউজিয়াম হওয়া উচিত

সান ট্যান দূর করার ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি!

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত:
১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, ১৬:২৩

শুরু হলো বসন্ত কাল। শীত শেষে একটু একটু গরম যেমন বাড়বে তেমনি রোদের তীব্রতাও বাড়তে থাকবে। ঘর থেকে বাইরে পা ফেললেই ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে থাকবে। একটা পর্যায়ে এমন হবে যে, দরজা খুলে এক পা বের হলেই ত্বক যেন পুড়ে যায়। তাই বলে কি বাইরে যাওয়া বন্ধ করা সম্ভব ? ফলাফল ত্বক পুড়ে কালো হয়ে যাওয়া, অর্থাৎ সান ট্যান এর সমস্যা দেখা দিবে। তবে সমস্যা যেমন আছে, তার সমাধানও আছে । সানট্যান দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি নিয়ে তাই এই প্রতিবেদন।

সানট্যান দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি...

টকদই ও টমেটো :

টকদই এবং টমেটো দুটোতেই প্রাকৃতিক ব্লিচিং উপাদান আছে। এজন্য সানট্যান দূর করতে এদের জুড়ি নেই। এক টেবিল চামচ টকদই আর এক টেবিল চামচ টমেটো বাটা একসাথে মিশিয়ে মুখে ও গলায় লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। এরপর ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। একটানা সাতদিন এটা করলেই দেখবেন ট্যান তো দূর হয়েছেই, সেই সাথে ত্বকের রংও কিছুটা উজ্জ্বল হয়ে গেছে।

বেসন, লেবুর রস ও টকদই :

বেসন প্রাকৃতিকভাবে ত্বক পরিষ্কার করে। আর লেবুর রস এবং টকদই ব্লিচিং এর মাধ্যমে ত্বকের রঙ হালকা করে। ফলে এই প্যাকটি নিয়মিত ব্যবহারে সানট্যান দূর হওয়ার সাথে সাথে ত্বকে লেগে থাকা ধুলো ময়লা সাফ হয়ে যাবে। এর জন্য এক চা চামচ বেসন, এক চা চামচ টকদই ও এক চা চামচ লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে ট্যানড ত্বকের উপর লাগিয়ে রাখতে হবে ২০ থেকে ২৫ মিনিট। তারপর ভালো করে ধুয়ে ফেললেই হবে। ভালো ফল পেতে এটা সপ্তাহে অন্তত তিনদিন ব্যবহার করতে হবে।

মসুর ডাল বাটা, টকদই ও হলুদ :

এই তিনটি উপাদানই ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করে। ফলে এদের নিয়মিত ব্যবহারে অনেক কড়া ট্যানও আস্তে আস্তে দূর হয়ে যায়। এক টেবিল চামচ মসুর ডাল বাটা নিন। এর সাথে মেশান এক চামচ টকদই ও এক চিমটি হলুদ গুঁড়ো। এবার এই প্যাকটি মুখে লাগিয়ে রাখুন আধা ঘন্টা। এরপর ভালো করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। তবে একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন। হলুদ গুঁড়োটা যেন খাটি হয়। বাজারের যেনতেন নকল হলুদ গুঁড়ো ব্যবহারে উল্টো ফল হতে পারে।

চন্দন, বেসন ও লেবুর রস :

এক চা চামচ চন্দনের গুঁড়ো, এক চা চামচ বেসন আর এক চা চামচ লেবুর রস ভালো করে মশিয়ে মুখে ও গলায় লাগিয়ে রাখুন ২০ থেকে ২৫ মিনিট। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ট্যান আস্তে আস্তে কমে যাবে।

অ্যালোভেলা জেল ও লেবুর রস :

এক চা চামচ অ্যালোভেরা জেলের সাথে হাফ চা চামচ লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার এটি মুখে লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। প্যাকটি হালকা শুকিয়ে আসলে হাত দিয়ে আলতোভাবে মিনিট দুই ম্যাসাজ করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন। এই প্যাকটি দেবার এক ঘন্টার মধ্যে রোদে বের হবেন না বা চুলায় রান্না করবেন না। তাহলে ত্বক আরো পুড়ে যাবে।

আলুর রস ও লেবুর রস :

সমপরিমাণ আলু ও লেবুর রস মিশিয়ে ট্যানড ত্বকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এরপর ত্বক ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন একবার করে এই প্যাকটি লাগিয়ে দেখুন। এতে ট্যান কমবেই।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর