বুধবার, ১৪ই মে ২০২৫, ৩১শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • গরুর দেশীয় জাত হারানোর বিনিময়ে আধুনিক জাত দরকার নাই
  • এনবিআর বিলুপ্তিতে কর্মকর্তাদের দুশ্চিন্তার কিছু নেই
  • চিকিৎসার নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতে বদ্ধপরিকর সরকার
  • ধার করে, টাকা ছাপিয়ে বাজেট বাস্তবায়ন করবো না
  • ২ জনের যাবজ্জীবন, ৯ জনের ১০ বছর জেল
  • পররাষ্ট্রসচিবসহ ৬ জনের সদস্যপদ স্থগিত করল অফিসার্স ক্লাব
  • চিকিৎসকদের জন্য সুখবর, বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব
  • সারাদেশে এনআইডি সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ
  • সরকারপ্রধান হিসেবে প্রথমবার নিজ এলাকায় যাচ্ছেন ড. ইউনূস
  • শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় ১৭ মে

টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানালো বিআরটিএ

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত:
৬ মার্চ ২০২৪, ১৪:১৮

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) সম্পর্কিত মোটরযান নিবন্ধন/রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস সনদ ইস্যু, নবায়ন, রুট পারমিট ইস্যু ও নবায়নে ঘুষ প্রদানসহ অন্যান্য বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) উপস্থাপিত প্রতিবেদন অনুমান নির্ভর, অসত্য ও উদ্দেশ্যমূলক বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার।

বুধবার (৬ মার্চ) রাজধানীর বনানী সড়ক পরিবহন ভবনের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।


নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, তথ্য প্রকাশের বিরুদ্ধে বিআরটিএ তীব্র প্রতিবাদ এবং তা প্রত্যাখান করছে। কারণ, এতে বিআরটিএসহ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অনুমান নির্ভর তথ্য যা জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টিসহ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে এরূপ প্রতিবেদন প্রকাশে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। আমরা টিআইবির কাছে এর লিখিত ব্যাখ্যা চাইবো। টিআইবি যে গঠনমূলক ও বাস্তবধর্মী সুপারিশগুলো করেছে তা আমরা আমলে নিয়ে কাজ করবো।

বিআরটিএ সার্ভিস পোর্টাল (bsp.brta.gov.bd) এর মাধ্যমে সেবাগ্রহীতারা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স, রাইডশেয়ারিং সার্ভিসের আবেদন ঘরে বসে দাখিল ও ঘরে বসেই সার্টিফিকেট প্রিন্ট করতে পারছেন জানিয়ে বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, অধিকন্তু, ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদনকারী পরীক্ষার দিনই বায়োমেট্রিক প্রদান করে দক্ষতা যাচাই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে অনলাইনে প্রযোজ্য ফি জমা প্রদানপূর্বক আবেদন দাখিল করে ই-ডাইভিং লাইসেন্স ঐ দিনই পেয়ে যাচ্ছে যা ব্যবহার করে গাড়ি চালাতে পারছে। এছাড়াও অনলাইনে আবেদন দাখিলের ৭-১৫ দিনের মধ্যে স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স ডাকযোগে আবেদনকারীর কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায় পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। যেহেতু সেবা পেতে স্বশরীরে বিআরটিএ তে আসার প্রয়োজন হয়না, সেহেতু উল্লেখিত সেবা পেতে ঘুষ, দুর্নীতি বা হয়রানির শিকার হওয়ার বিষয়টি যুক্তিযুক্ত নয়।

বিআরটিএ চেয়ারম্যান আরো বলেন, মোটরযান মালিক ডিলার বা শো-রুম থেকে মোটরযান ক্রয়ের পর অনলাইনে মোটরযান রেজিস্ট্রেশনের জন্য নিজে বা ডিলার /শো-রুম এর মাধ্যমে বিআরটিএ সার্ভিস পোর্টাল এ দাখিল করতে পারেন। অনলাইনে আবেদন দাখিলের পর নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে সংশ্লিষ্ট বিআরটিএ অফিসে মোটরযান সরেজমিনে পরিদর্শনপূর্বক একই দিনে রেজিস্ট্রেশন নম্বর প্রদান করা হচ্ছে। সুতরাং এক্ষেত্রে সেবা পেতে ঘুষ, দুর্নীতি বা হয়রানির শিকার হওয়া এবং সংশ্লিষ্ট সেবা পেতে গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখিত গড় ব্যয়িত সময় ৩০ কর্মদিবসের বিষয়টি অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত।

১৫ অক্টোবর ২০২০ থেকে ফিটনেস নবায়নে অনলাইনে অ্যাপয়নমেন্ট গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে জানিয়ে বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, অ্যাপয়নমেন্ট অনুযায়ী নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে মোটরযান সংশ্লিষ্ট সার্কেল অফিসে হাজির করে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় উপযুক্ততা সাপেক্ষে ফিটনেস সার্টিফিকেট একই দিনে প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য, ফিটনেস নবায়নে মোটরযান ভেহিকেল ইন্সপেকশন সেন্টার (ভিআইসি) এর মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ফিটনেস সার্টিফিকেট প্রদানের লক্ষ্যে বিআরটিএ ঢাকা মেট্রো-১ সার্কেল, মিরপুর অফিসে ১২ (বার) লেন বিশিষ্ট ভিআইসি চালু করা হয়েছে। অন্যান্য সার্কেল অফিসে ফিটনেস প্রদানের সময় সংশ্লিষ্ট মোটরযানের স্বচিত্র ছবি ধারণ করে ডিজিটালি আর্কাইভ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে ফিটনেস নবায়নে ১৫ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টার মধ্যে সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ফিটনেস সনদ প্রদান করা হয়। এক্ষেত্রে যেহেতু স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হয়েছে সেহেতু সংশ্লিষ্ট সেবা পেতে ঘুষ, দুর্নীতি বা হয়রানির শিকার হওয়ার বিষয়টি সঠিক নয় এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

তিনি বলেন, রুট পারমিট সার্টিফিকেট ইস্যু/নবায়নের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অধিক্ষেত্রের যাত্রী, ও পণ্য পরিবহন কমিটির সুপারিশের আলোকে বিআরটিএ থেকে নির্ধারিত সময়ে ডিজিটাল পদ্ধতিতে রুট পারমিট সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। ক্ষেত্রবিশেষে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন কমিটির সভা অনুষ্ঠানের বিলম্ব হওয়ার কারণে রুট পারমিট ইস্যু/নবায়নে সময়ক্ষেপন হতে পারে। তবে এই সময় কোনোক্রমেই প্রতিবেদনে উল্লেখিত ৪৫ কর্মদিবস নয়। এক্ষেত্রে সেবা পেতে ঘুষ, দুর্নীতি বা হয়রানির শিকার হওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর