শুক্রবার, ১৬ই মে ২০২৫, ২রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • সাংবাদিকদের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেওয়া হবে শিগগিরই
  • নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলের নাশকতার ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক পুলিশ
  • গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারকে পুর্নবাসন অধ্যাদেশ
  • গত ৯ মাসে কোনো সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করেনি সরকার
  • প্রবাসীদের ভোটার হতে দিতে হবে চার তথ্য
  • ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ২০০১ মামলা
  • ১২ লাখ শ্রমিকের ভাগ্য নির্ধারণ আজ
  • ভয়াবহ বায়ুদূষণে পঞ্চম ঢাকা
  • রাত ৮টার পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ বন্ধ হচ্ছে
  • ইশরাককে মেয়র পদে বসানোর দাবিতে সড়কে অবস্থান

তাপদাহে বিপর্যস্ত রিকশা চালকরা, কমেছে আয়ও

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত:
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৩৭

রাজধানীর সোবহানবাগ মসজিদের বিপরীত পাশে যাত্রীর অপেক্ষা করছিলেন রিকশা চালক মো. উজির আলী। দুপুরের তপ্ত রোদ এসে পড়ছিল প্রধান সড়কে।

আশপাশে কোনো গাছ না থাকায় রোদের হাত থেকে বাঁচতে নিজের রিকশা ছায়ায় রাস্তার ওপরই বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন তিনি।
তাপদাহের এই তীব্র গরমে ছায়ায় না দাঁড়িয়ে রোদের মধ্যে দাঁড়ানোর কারণ জানতে চাইলে উজির আলী বলেন, যেসব জায়গায় গাছ বা বিল্ডিংয়ের ছায়া আছে, সেসব জায়গায় দাঁড়ালে যাত্রী পাওয়া যায় না। তাই বাধ্য হয়েই এই রোদের মধ্যে দাঁড়াতে হয়েছে।

রাজধানীসহ সারাদেশে বইছে মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা প্রাণিকুলে। তবে তাপদাহে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন উজির আলীর মতো রিকশাচালকরা। চাইলেই গরমে বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ নেই তাদের। জীবিকার তাগিদে এই তীব্র গরমের মধ্যেও কষ্ট করতে হচ্ছে এরপরও গরমের কারণে কমেছে তাদের আয়ও।

উজির আলী  বলেন, গরমে চরম কষ্ট হয়। কিন্তু কিছু করার নেই। বাড়িতে পরিবার আছে, তাদের টাকা পাঠাতে হয়। ঢাকায় নিজের খরচ। সব মিলিয়ে রিকশা না চালালে নিজের ও পরিবারের পেটে ভাত জোটে না। তাই বাধ্য হয়েই এই গরমের মধ্যে রিকশা চালাতে হচ্ছে।

আগের তুলনায় আয় কমেছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, গরমের কারণে একটানা রিকশা চালানো যায় না। প্রতিবার যাত্রী বহন করলে, বিশ্রাম নিতে হয়৷ বেশিক্ষণ চালানো যায় না। এছাড়া গরমের কারণে রাস্তায় যাত্রীও কম।

একই কথা বলেন মো. সুজন নামের এক রিকশা চালক। দুপুরের তপ্ত রোদে ধানমন্ডি-৬ থেকে যাত্রী নিয়ে ধানমন্ডি-৩২ এ এসেছেন তিনি। গরমে ঘেমে-নেয়ে একাকার অবস্থা। তার মধ্যেও আবার যাত্রী খুঁজছেন তিনি। সুজন বলেন, আমাদের কামাইয়ের যে জোর, বসে থাকার তো সুযোগ নেই। বসে থাকলে খাব কি বাড়িতে বউ-বাচ্চা আছে। তাও তো ইনকাম নেই। কিছুক্ষণ রিকশা চালালে পায়ে জোর পাওয়া যায় না।

দিল মোহাম্মদ নামের আরেক রিকশাচালক বলেন, গরমে বেশিক্ষণ রিকশা চালানো যায় না। তার ওপর স্কুলকলেজ বন্ধ থাকায় যাত্রী কম। একটি ক্ষেপ মারলে আধা ঘণ্টা বসে থাকতে হয়৷ আগে রিকশা জমা, খাবার খরচ বাদ দিয়ে দৈনিক ৬০০-৭০০ টাকা থাকতো। কিন্তু এখন ৩০০-৪০০ টাকা রাখতেও কষ্ট হয়ে যায়। গরমে কেউ কেউ বাড়তি টাকা দিলেও, বেশিরভাগ যাত্রী দেয় না৷ উল্টো একটু বেশি টাকা চাইলেই ঝগড়া লেগে যায়।

সাইন্সল্যাব এলাকায় যাত্রীর অপেক্ষায় বসে ছিলেন মো. জাহাঙ্গীর। তিনি বলেন, গরমে রিকশা চালাতে অনেক কষ্ট হয়। কিন্তু পেটের দায়ে বের না হয়ে উপায় নেই। দুপুরে রিকশা কম থাকে, তাই এই সময় বের হয়েছি। এছাড়া এই গরমে টিনের গ্যারেজে শুয়ে থাকাও দায়। তার থেকে বাইরে থাকলে যাত্রীও পাওয়া যাবে, মাঝে মাঝে গাছের নিচে বিশ্রামও নেওয়া যাবে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর