বৃহঃস্পতিবার, ১২ই জুন ২০২৫, ২৯শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • শোক জানিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে বার্তা ড. ইউনূসের
  • দুর্গত এলাকায় খাদ্যসংকট নিরসনে বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছে সরকার
  • ‘বিদেশে সম্পদ পাচারে অভিযুক্ত ধনকুবেরদের সঙ্গে ‘সমঝোতার’ কথা ভাবছে বাংলাদেশ’
  • বিচারপতির বাসভবন, সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
  • মে মাসে ৫৯৭ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬১৪
  • তারেক রহমান চাইলেই দেশে আসতে পারেন
  • প্রধান উপদেষ্টা আজ কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করবেন
  • পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা নিয়ে যা জানালেন প্রেস সচিব
  • পাচারকৃত অর্থ পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করল যুক্তরাজ্য
  • ঢাকার বাতাস আজ ‘সহনীয়’

সম্পাদকীয়

সংলাপ প্রস্তাব স্বাগত

সম্পাদকীয়

প্রকাশিত:
৮ জুন ২০২৩, ১৬:৩৯

.

বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানে প্রয়োজনে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় বিএনপির সহিত আলোচনা হইতে পারে বলিয়া আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু যেই অভিমত প্রকাশ করিয়াছেন, আমরা উহাকে স্বাগত জানাই। তিনি শুধু ক্ষমতাসীন দলের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য নহেন; ১৪ দলীয় জোটেরও মুখপাত্র। বস্তুত রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে মঙ্গলবার জোট আয়োজিত জনসভাতেই তিনি প্রস্তাবটি দিয়াছেন বলিয়া সমকালসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমসূত্রে জানা গিয়াছে। আমরা প্রত্যাশা করি, ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দল উভয়ই প্রবীণ এই নেতার বক্তব্যের তাৎপর্য অনুধাবনে সক্ষম হইবে।

আমরা জানি, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের মাত্র আট মাস অবশিষ্ট। অথচ নির্বাচনকালীন সরকার লইয়া ক্ষমতাসীন এবং প্রধান বিরোধী দল স্বীয় অবস্থানে অনড়। বিষয়টি লইয়া উভয় পক্ষ কয়েক মাস ধরিয়া বাগ্‌যুদ্ধেও লিপ্ত। এমনকি দুই পক্ষ বেশ কয়েকবার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রাণঘাতী সংঘর্ষেও সংশ্লিষ্ট হইয়াছে। এহেন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি দেশের কল্যাণকামী নাগরিকগণ মানিয়া লইতে পারেন না। উদ্বেগজনক পরিস্থিতির অবসানকল্পে এই সম্পাদকীয় স্তম্ভে অদ্যাবধি বহুবার আমরা উভয় দলের প্রতি উন্মুক্ত হৃদয়ে আলোচনায় বসিবার আহ্বান জানাইয়াছি। কিন্তু গত স্বাধীনতার পর হইতে অধিকাংশ সময় পালাক্রমে দেশ শাসনকারী দল দুইটি উহার প্রতি দৃশ্যত কর্ণপাত করে নাই। বরং উভয় দলেরই শীর্ষ পর্যায় হইতে পরস্পর সংলাপ অনুষ্ঠানের সম্ভাবনাকে ফুৎকারে এতদিন উড়াইয়া দেওয়া হইয়াছে। চলমান অবস্থায় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের প্রতি শাসক দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতার আহ্বান যেই কোনো বিচারেই আশাব্যঞ্জক বিবেচিত হইতে পারে।

আমরা মনে করি, লাগাতার এক দশকেরও অধিক সময় ধরিয়া তেজিভাব প্রদর্শনের পর অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক কিছু সমস্যার কারণে আমাদের জাতীয় অর্থনীতি সংকটকাল অতিক্রম করিতেছে। ইহার প্রভাবে জনজীবন প্রায় অচল হইবার উপক্রম। বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট প্রলম্বিত হইলে তাহা শুধু গভীরতর হইবে না; দেশ ও জাতির জন্য বিপর্যয়ও ডাকিয়া আনিতে পারে। সচেতন নাগরিক সকলের ন্যায় আমাদেরও প্রত্যাশা, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে অবাধ, স্বচ্ছ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য করিবার মধ্য দিয়া দেশের রাজনীতিকে সুস্থ-স্বাভাবিক ধারায় প্রবাহিত করা যাইতে পারে। উহাতে অর্থনীতিও ইতিবাচক ধারায় প্রত্যাবর্তন করিতে পারে। উপরন্তু এই ক্ষেত্রে দেশের প্রধান দুই দলের মধ্যে চিন্তার ভিন্নতা যত বিস্তৃতই হউক; উভয় পক্ষ মাত্র চায়ের কাপের দূরত্বে বসিলে সমাধানসূত্র অন্বেষণ দুরূহ নহে।

হইতে পারে, আমির হোসেন আমুর বক্তব্যটি একান্তই ব্যক্তিগত। কিন্তু ইহাও অস্বীকার করা যাইবে না, অদ্যাবধি পরস্পর সংলাপ বিষয়ে এতটা খোলামেলা বক্তব্য কোনো পক্ষের নেতার নিকট হইতেই পাওয়া যায় নাই। আমাদের প্রত্যাশা, শাসক দলের জ্যেষ্ঠ নেতার উক্ত মুক্তবাক্য দুই পক্ষের মধ্যে বরফ-গলন প্রক্রিয়ার সূচনা করিবে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর