রবিবার, ১৮ই মে ২০২৫, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এডিপির আকার ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা 
  • ২৪ ঘণ্টায় বিশেষ অভিযানে ১৫৬৬ জন গ্রেফতার
  • উপদেষ্টা আসিফকে নগর ভবনে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
  • অবৈধ ভারতীয়দের নিয়ম মেনে ফেরত পাঠাবে বাংলাদেশ
  • এমআরএ ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা
  • সরকার নারী-পুরুষের সমান সুযোগ নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
  • আছিয়া ধর্ষণ-হত্যা মামলায় হিটু শেখের মৃত্যুদণ্ড
  • সাংবাদিকদের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেওয়া হবে শিগগিরই
  • নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলের নাশকতার ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক পুলিশ
  • গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারকে পুর্নবাসন অধ্যাদেশ

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

গ্রামে ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে, শহরে নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ চাপে

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত:
২৬ জুন ২০২৪, ১৬:২৭

গ্রামের মানুষের চেয়ে শহরের নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ চাপ আছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। তিনি বলেন, গ্রামের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে।

কিন্তু শহরের নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ সবচেয়ে বেশি চাপে রয়েছে।
বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। বিএসআরএফের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় বিএসআরএফ সভাপতি ফসিহ উদ্দিন মাহতাব এতে সভাপতিত্ব করেন।

শহরের নিদিষ্ট আয়ের মানুষ চাপে আছে উল্লেখ করে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি টিপ্পনী কাটার জন্য বলছি না। বাস্তবতা বলছি, মানুষের কাছে কিন্তু টাকা আছে। গত তিন মাসে দুই বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা গত বছরের তুলনায় ৩৮ শতাংশ বেশি। এ দুই বিলিয়ন ডলার কিন্তু গ্রামীণ অর্থনীতিতে যোগ হয়েছে। ফলে গ্রামের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। গ্রামের মানুষ যারা উৎপাদন করে, তারা কিন্তু শহরের নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের চেয়ে ভালো আছে। গ্রামের যে লোকটি অটোরিকশা চালান, তিনি কিন্তু মাল্টিপল কাজ করছেন।

তিনি বলেন, খুব বেশি চাপে আছে নিদিষ্ট আয়ে শহরের মানুষ। তাদের সহযোগিতার জন্য টিসিবিসহ অন্যান্য কর্মসূচি রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা শহরভিত্তিক মানুষকে সহায়তার চেষ্টা করছি।

উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হলেও স্বল্পোন্নত দেশের সুবিধাগুলো অব্যাহত রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ডব্লিউটিওসহ বিভিন্ন জোটের সঙ্গে, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিগুলো করছি। ইউরোপীয় ইউনিয়নে কোটা ফ্রি, ডিউটি ফ্রি সুবিধা যাতে অব্যাহত থাকে, সে বিষয়ে আমরা কাজ করছি। নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা দিয়েছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে দ্রুত কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট বাংলাদেশের সঙ্গে করবেন। চীনের সঙ্গে আমাদের স্টাডি সম্পন্ন হয়েছে, চীন একটি এফটিএ করার জন্য উদ্যোগী। আসিয়ান দেশগুলোর সঙ্গেও আমাদের যোগাযোগ বাড়িয়েছি।

ট্যারিফ কমিশনকে ঢেলে সাজানো হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা যখন এলডিসি কান্ট্রি থেকে উন্নত দেশে যাব ২০২৬ সালে, তখন কিন্তু আমরা আমদানিতে প্রতিবন্ধকতা রাখতে পারব না। অন্যের বাজার পেতে চাইলে নিজেদের বাজার ওপেন করতে হবে। এজন্য ট্যারিফ কমিশনকে ন্যাশনালাইজ করতে হবে। কমিশনকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। ট্যারিফ পলিসি ২০২৩ ঘোষণা করেছি। তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি। আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সচল রাখার চেষ্টা করছি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তৈরি করেছিলেন আমদানি রপ্তানি-বাণিজ্য করার জন্য। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, ৭৫ পরবর্তী সময়ে টিসিবিকে আর রপ্তানি করতে দেওয়া হয়নি। ন্যায্যমূল্যের যে দোকানগুলো ছিল, তাও সামরিক সরকার এসে বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের কষ্ট হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত নিত্যপণ্যের সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে পেরেছি। বিশেষ করে আমদানি করা দুটি পণ্য চিনি ও তেল- এ দুটির সরবরাহ ও দাম গত পাঁচ ছয় মাস ধরে স্থিতিশীল রয়েছে। আমাদের মন্ত্রণালয় বাজার পর্যবেক্ষণ ও মনিটরিং করে। আমাদের কাছে টুলস যা আছে, তা হলো আমদানি করে কিছু পণ্য সংগ্রহ করতে পারি। আমরা টিসিবিকে অনেক শক্তিশালী করেছি।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর