সোমবার, ৯ই জুন ২০২৫, ২৬শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • আজ থেকে যমুনা ও সচিবালয় এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
  • প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাজ্য সফরে যাচ্ছেন আজ
  • মধ্যরাতে দেশে ফিরলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ
  • ৮ বিভাগেই বজ্রবৃষ্টির আভাস
  • ডিসিপ্লিন মানলেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে যানজট-আইনশৃঙ্খলা
  • দুর্নীতিবাজরা নেই, তাই গরুর দাম কম
  • তেলের দাম কমানো হয়েছে, বাসে বাড়তি ভাড়া নিলেই ব্যবস্থা
  • বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা পেল সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল
  • চার দিনের সফরে যুক্তরাজ্য যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • গুমের ঘটনা নিয়ে একটি হরর মিউজিয়াম হওয়া উচিত

আসামে বন্যায় মৃত বেড়ে ৯০, এখনো বিপৎসীমার ব্রহ্মপুত্র

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত:
১৩ জুলাই ২০২৪, ১৫:৩৬

ভারতের আসামে বন্যা পরিস্থিতি এখনো শোচনীয়। ১২ লাখের বেশি মানুষ এখনো বন্যাকবলিত। পানির নিচে হাজার হাজার গ্রাম। শুক্রবার বন্যার কারণে নতুন করে ওই রাজ্যে আরো সাত জনের মৃত্যু হয়েছে।


এতে বন্যার মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০ জনে। এখনো বেশ কিছু জায়গায় বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে ব্রহ্মপুত্রের পানি। ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগের চেয়ে আসামের বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।


তবে তা পর্যাপ্ত নয়। এখনো রাজ্যের ২৪টি জেলার ১২ লাখ ৩৩ হাজার মানুষ বন্যাকবলিত। পানির নিচে রয়েছে দুই হাজার ৪০৬টি গ্রাম। ৩২ হাজার হেক্টরের বেশি চাষের জমি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এখনো বহু মানুষ ঘরছাড়া। উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনী (এএসডিএমএ)।
এএসডিএমএর প্রতিবেদন বলছে, শুক্রবার আসামের গোয়ালপাড়া জেলায় নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। তাতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া নগাঁও ও জোরহাটে বন্যার পানিতে ডুবে একজন করে মারা গেছে।

এর ফলে মোট মৃত্যুর সংখ্যা পৌঁছে দাঁড়িয়েছে ৯০ জনে। রাজ্যের যে জেলাগুলো বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার মধ্যে কাছার, ধুবড়ি, নগাঁও, ডিব্রুগড়, কামরূপ, গোলাঘাট, জোরহাট, মরিগাঁও, লখিমপুর, করিমগঞ্জ, দারাং, মাজুলি, তিনসুকিয়া অন্যতম।
এএসডিএমএ আরো জানিয়েছে, রাজ্যের অনেক জেলাতেই নদীর পানি কমছে। কিন্তু নেমাটিঘাট, তেজপুর, ধুবড়ির মতো জায়গায় ব্রহ্মপুত্র এখনো বইছে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে। এ ছাড়া, বুরহিডিহিং নদী, দিসাং নদী, কুশিয়ারা নদীর পানিও বিপৎসীমার ওপরে রয়েছে। এসব নদী দুই কূল ছাপিয়ে প্লাবিত করেছে গোটা এলাকা।

আসামে প্রায় তিন লাখ মানুষ ঘরছাড়া। রাজ্যের ৩১৬টি ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছে তারা। বন্যায় বিপাকে পড়েছে রাজ্যের সাড়ে ছয় লাখের বেশি পশু। কাজিরাঙায় মৃত্যু হয়েছে ১০টি রাইনো, ১৫০টি হগ ডিয়ারসহ ১৮০টি পশুর। ১৩৫টি পশুকে উদ্ধার করা হয়েছে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর