বৃহঃস্পতিবার, ১২ই জুন ২০২৫, ২৯শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • শোক জানিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে বার্তা ড. ইউনূসের
  • দুর্গত এলাকায় খাদ্যসংকট নিরসনে বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছে সরকার
  • ‘বিদেশে সম্পদ পাচারে অভিযুক্ত ধনকুবেরদের সঙ্গে ‘সমঝোতার’ কথা ভাবছে বাংলাদেশ’
  • বিচারপতির বাসভবন, সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
  • মে মাসে ৫৯৭ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬১৪
  • তারেক রহমান চাইলেই দেশে আসতে পারেন
  • প্রধান উপদেষ্টা আজ কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করবেন
  • পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা নিয়ে যা জানালেন প্রেস সচিব
  • পাচারকৃত অর্থ পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করল যুক্তরাজ্য
  • ঢাকার বাতাস আজ ‘সহনীয়’

হাইকোর্টের রায়

অর্পিত সম্পত্তি নিয়ে সব মামলার বিচার চলবে ট্রাইব্যুনালে

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত:
৮ জুন ২০২৩, ১৬:৫০

.

অর্পিত সম্পত্তি আইনের ৯, ১৩ ও ১৪ ধারা চ্যালেঞ্জ করে করা দুটি রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে আইন অনুযায়ী অর্পিত সম্পত্তি সংক্রান্ত যে কোনো মামলার বিচার বিশেষ ট্রাইব্যুনালেই হবে। পাশাপাশি অর্পিত সম্পত্তি লিজ প্রদান ও ব্যবস্থাপনার বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) ক্ষমতা বহাল রইল।

বিচারপতি নাইমা হায়দার, বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন। 

রায়ে বলা হয়েছে, অর্পিত সম্পত্তি আইনের ৯, ১৩ এবং ১৪ ধারা মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী নয়। আইন অনুযায়ী অর্পিত সম্পত্তি নিয়ে যে কোনো মামলার বিচার এ সংক্রান্ত বিশেষ ট্রাইব্যুনালে হবে। অন্য সব আদালতে চলমান সব মামলা বাতিল বলে গণ্য হবে। অর্পিত সম্পত্তি জেলা প্রশাসকের অধীনে থাকবে এবং জেলা প্রশাসক প্রয়োজনে লিজ দিতে পারবেন।

 

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী। ভূমি মন্ত্রণালয়ের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরশেদ এবং জেলা প্রশাসনের পক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।

পরে মনজিল মোরসেদ বলেন, হাইকোর্টের রায়ের ফলে অর্পিত সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা ও লিজ দেওয়ার ক্ষমতা জেলা প্রশাসকদের হাতেই বহাল থাকছে এবং এ সংক্রান্ত মামলা কেবল অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ ট্রাইব্যুনালেই দায়ের করার বাধ্যবাধকতা তৈরি হয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১২ সালে চট্টগ্রামের শ্যামল কুমার রায়, সিঙ্গা রায় ও মশিয়ার রহমান অর্পিত সম্পত্তি আইনের তিনটি ধারা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে পৃথক রিট দায়ের করেন। রিটে জেলা প্রশাসকরা অর্পিত সম্পত্তি লিজ দিতে পারে কি-না তারও বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। পরে ওই রিটের চূড়ান্ত শুনানিতে আইনি ব্যাখ্যার প্রয়োজন হলে ৩ সদস্যের বেঞ্চ গঠন করেন প্রধান বিচারপতি। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার ওই দুটি রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে তা খারিজ করে রায় দেন হাইকোর্ট।

উল্লেখ্য, ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় যারা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমানে বাংলাদেশ) থেকে পালিয়ে ভারতে যান, তাদের সম্পত্তি শত্রু সম্পত্তি ঘোষণা করে তৎকালীন সরকার। পরে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৪ সালে শত্রু সম্পত্তিকে অর্পিত সম্পত্তি করা হয়। এসব সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ২০০১ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার অর্পিত সম্পত্তি আইন করলেও তা পরে স্থগিত করে বিএনপি সরকার। এরপর ২০১২ সালে ওই আইন ফের পুনর্বহাল করে বর্তমান সরকার।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর