শনিবার, ১৪ই জুন ২০২৫, ৩০শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • শোক জানিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে বার্তা ড. ইউনূসের
  • দুর্গত এলাকায় খাদ্যসংকট নিরসনে বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছে সরকার
  • ‘বিদেশে সম্পদ পাচারে অভিযুক্ত ধনকুবেরদের সঙ্গে ‘সমঝোতার’ কথা ভাবছে বাংলাদেশ’
  • বিচারপতির বাসভবন, সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
  • মে মাসে ৫৯৭ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬১৪
  • তারেক রহমান চাইলেই দেশে আসতে পারেন
  • প্রধান উপদেষ্টা আজ কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করবেন
  • পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা নিয়ে যা জানালেন প্রেস সচিব
  • পাচারকৃত অর্থ পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করল যুক্তরাজ্য
  • ঢাকার বাতাস আজ ‘সহনীয়’

ডিজিটাল বাংলাদেশের কারণেই অনলাইনে ফল পাওয়া যাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত:
২৯ জুলাই ২০২৩, ১২:০৬

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ডিজিটাল বাংলাদেশের বিনির্মাণেই কারণে এখন অনলাইনেই ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (২৮ জুলাই) গণভবনে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েই দেশ গঠনের কাজ শুরু করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। উন্নত বিশের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে শিক্ষার মানোন্নয়নে বর্তমানে কাজ করছে সরকার। ডিজিটাল বাংলাদেশের বিনির্মাণেই কারণে এখন অনলাইনেই ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের ফলে করোনার সময় অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালানো গেছে।

প্রধানমন্ত্রী অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, সন্তানকে অযথা অন্যের সঙ্গে তুলনা করার কিছু নেই। সবার মেধা একরকম হয় না। অমুকের ছেলে ভালো করেছে, তুমি পারলা না কেন, এই তুলনাটা যেন না করে। এটা করা ঠিক না। কারণ সবার সব রকম মেধা থাকে না, সবার সেই চিন্তাভাবনার শক্তি থাকে না। যার যেটা দক্ষতা, সে সেই অনুযায়ীই পড়বে। যতটুকু সম্ভব, তাদের সহযোগিতা করা উচিত।

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অনেক মেধাবী বর্ণনা করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দরকার শিক্ষার গুণগত মান আরও উন্নত করা। সারাবিশ্বের ছেলেমেয়েদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের ছেলেমেয়ারা যেন চলতে পারে।

এসএসসিতে ছেলেদের সংখ্যা কেন কমে যাচ্ছে সে প্রশ্ন রেখে সরকার প্রধান বলেন, ২০২৩ সালে এসএসসি ও সমমানে পরীক্ষায় ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনের ২০ লাখ ৭৮ হাজার ২১৬ জন পরীক্ষার্থী ছিল।  এর মধ্যে ছাত্র সংখ্যা হচ্ছে ১০ লাখ ২৪ হাজার ৯৮০ জন, যা ৪৯.৩২ শতাংশ। ছাত্রী সংখ্যা হচ্ছে ১০ লাখ ৫৩ হাজার ২৪৬ জন, যা ৫০.৬৮শতাংশ। ছেলের সংখ্যা কেন কমে যাচ্ছে একটু ভেবে দেখা দরকার। এরা কি স্কুলে যাচ্ছে না? পরীক্ষার্থী সংখ্যা কেন কমে গেল? আমার মনে হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে তা ভালোভাবে দেখা দরকার।

ফেল করা শিক্ষার্থীদের বকাবকি না করে আগামীতে ভালো করতে উৎসাহ দিতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা কৃতকার্য হতে পারেনি, তাদের বলব- হতাশ না হয়ে আগামীবার আরো ভালভাবে পাস করতে হবে, সেজন্য যেন তারা প্রস্তুত হতে পারে।

এর আগে, শুক্রবার (২৮ জুলাই) সকাল ৯টায় সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলাফলের সার-সংক্ষেপ হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

বেলা ১১টায় রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

এ বছর ২০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। শুক্রবার (২৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টা থেকেই ওয়েবসাইট ও মোবাইলে পাওয়া যাবে ফল। একই সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও মিলবে ফল।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর