মঙ্গলবার, ২০শে মে ২০২৫, ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • পরিবেশ উপদেষ্টার সঙ্গে নরওয়ের স্টেট সেক্রেটারির বৈঠক
  • ব্যক্তিগত আক্রমণ করে লাভ নেই, আদালতে লড়তে হবে
  • যুক্তরাজ্য সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • মহার্ঘ ভাতা নিয়ে নতুন তথ্য দিলেন অর্থ উপদেষ্টা
  • আওয়ামী লীগের দোসর আমলাদের তালিকা প্রকাশ করেছে জুলাই ঐক্য
  • মঙ্গলবার ঢাকায় আসছেন নরওয়ের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী
  • মেয়র হিসেবে ইশরাককে শপথ না পড়াতে রিটের শুনানি দুপুরে
  • কী ঘটেছিল তার্কিশ এয়ারলাইন্সের বিমানটিতে
  • সরকার কত টাকার সম্পদ জব্দ করেছে, জানালেন প্রেস সচিব
  • জরুরি সভা ডাকলো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

স্বজনদের আহাজারি:

লক্ষ্মীপুরে দাফনের ২৯ দিন পর শিক্ষার্থী সাব্বিরের লাশ উত্তোলন

তছলিমুর রহমান, লক্ষ্মীপুর

প্রকাশিত:
৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫:২৬

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিহত শিক্ষার্থী মো. সাব্বিরের লাশ দাফনের ২৯ দিন পর উত্তোলন করা হয়েছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে তাঁর লাশ কবর থেকে তোলা হয়। এ সময় শোকে বাকরূদ্ধ তার বাবা আমির হোসেন নিষ্পলক তাকিয়ে আছেন আকাশের দিকে। তার মা মায়া বেগমসহ স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা। একজন বুকের মানিক সাব্বির রহমান দেখতে চেয়েছেন, কিন্তু সেই সৌভাগ্য হয়নি মায়া বেগমের।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা শহরের দক্ষিণে লক্ষ্মীপুর-টু-রামগতি সড়কের পাশে অবস্থিত মনির উদ্দিন পাটোয়ারী জামে মসজিদের কবরস্থান থেকে নিহত শিক্ষার্থীর মরদেহ উত্তোলন করা হয়।

জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মজিবুর রহমান ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর মডেল থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোবারক হোসেনের উপস্থিতিতে কবর থেকে সাব্বিরের লাশ উত্তোলন করা হয়।

পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

শিক্ষার্থী সাব্বির নিহতের ঘটনায় তার বাবা আমির হোসেন বাদী হয়ে জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও সদর উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান সালাহ্ উদ্দিন টিপুকে প্রধান আসামী করে ৯১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০০ জন আসামীর নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি আমলে নিয়ে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সদর কোর্ট) বিচারক আবু নোমান কবর থেকে লাশ উত্তোলনের আদেশ দেন।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোবারক হোসেন জানান, আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্ত স্বার্থে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মজিবুর রহমানের নেতৃত্বে লাশটি উত্তোলন করা হয়। ময়নাতদন্তের পর ফের লাশটি দাফন করা হবে।

নিহত সাব্বির সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের শরীফপুর গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে। সে দালাল বাজার ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিলেন। তবে তার মৃত্যুর পর লাশ আনা হয় নানার বাড়ী লক্ষ্মীপুর পৌরসভার (১২নং ওয়ার্ড) মনির উদ্দিন পাটোয়ারী বাড়ীতে। একদিন পর তার দাফন হয় মনির উদ্দিন পাটোয়ারী জামে মসজিদের কবরস্থানে।

উল্লেখ্য: গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে লক্ষ্মীপুরে সাব্বিরসহ ৪ শিক্ষার্থী আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের গুলিতে নিহত হয়। ওইদিন আরও দুই শতাধিক মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়।

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর