সোমবার, ১৯শে মে ২০২৫, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • এবার শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারের বাজেট, দ্বায়িত্বজ্ঞানহীন নয়
  • ভারতের সঙ্গে আমাদের যে ব্যবসা, তাতে ভারতের পাল্লাই ভারী
  • শেখ হাসিনা-পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ২৫ মে
  • সাম্য হত্যার তদন্ত ডিবির কাছে হস্তান্তরের আশ্বাস স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
  • জাতীয় সনদের দিকে দ্রুত অগ্রসর হতে চায় ঐকমত্য কমিশন
  • সোমবার নগর ভবন ‘ব্লকেডে’র ডাক ইশরাক সমর্থকদের
  • নগর ভবনের গেটে তালা, উপদেষ্টা আসিফের পদত্যাগ দাবি
  • বিদেশি নাগরিকত্ব থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করলেন ড. খলিলুর
  • সেবা দিয়ে জনগণের মন জয় করতে হবে
  • শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে টিম গঠন দুদকের

যেসব কারণে নিষিদ্ধ হলো ছাত্রলীগ

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
২৪ অক্টোবর ২০২৪, ১১:১৬

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন অ্যাখ্য দিয়ে নিষিদ্ধ করেছে সরকার। বুধবার (২৪ অক্টোবর) রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

 এতে সই করেন জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক শাখা-২-এর সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন।

গত মঙ্গলবার ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করাসহ ৫ দফা দাবি জানিয়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। পরে একদিনের মাথায়ই নিষিদ্ধ করা হলো ছাত্রলীগকে। প্রজ্ঞাপনে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধে বেশ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে, বিশেষ করে বিগত ১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ‘হত্যা, নির্যাতন, গণরুমকেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট-বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ, যৌন নিপীড়নসহ নানাবিধ জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী’ কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। এ বিষয়ে প্রামাণ্য তথ্য দেশের সকল প্রধান গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এবং কিছু সন্ত্রাসী ঘটনায় সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের অপরাধ আদালতে প্রমাণিতও হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ জনগণকে ‘উন্মত্ত ও বেপরোয়া সশস্ত্র আক্রমণ’ করে শত শত নিরপরাধ শিক্ষার্থী ও ব্যক্তিদের হত্যা করেছে। আরও অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন করেছে।

পরবর্তী সময়ে ‘৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যের’ সঙ্গে জড়িত বলে সরকারের কাছে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ আছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

এসব কারণ দেখিয়ে ‘সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯’-এর ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা এবং এই ছাত্রসংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্তা হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণার পর উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দেন। মিষ্টি বিতরণ করেন।

এই মুহূর্তে খবর এলো, ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হলো; এই মুহূর্তে খবর এলো, সন্ত্রাসী লীগ নিষিদ্ধ হলো; হৈ হৈ রৈ রৈ, সন্ত্রাস লীগ গেলি কই; এই মুহূর্তে খবর এলো, ক্যাম্পাস সন্ত্রাসমুক্ত হলো- ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে প্রতিষ্ঠিত হয় ছাত্রলীগ। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাঙালির স্বাধিকারের বিভিন্ন আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে এই ছাত্র সংগঠন। তবে সময়ের পরিক্রমায় ছাত্রলীগ একাধিক ধারায় বিভক্ত হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নিজেদের মধ্যে দলাদলি, অন্তর্কোন্দল, হামলা-মারামারি, খুন, শিক্ষার্থী নির্যাতন, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজিসহ নানা কারণে ছাত্রলীগের সমালোচনা হয়েছে।

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর