মঙ্গলবার, ১৭ই জুন ২০২৫, ৩রা আষাঢ় ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • তেহরানের ৪০০ বাংলাদেশিকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হবে
  • বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ নেই, নেতারা অনলাইনে হম্বিতম্বি করছে
  • ঢাকায় ভিসা কার্যক্রম ফের চালু করায় অস্ট্রেলিয়াকে ধন্যবাদ জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
  • জুলাই মাসেই ‘জুলাই সনদ’
  • জ্বালানির দাম বাড়বে কি না জানালেন অর্থ উপদেষ্টা
  • চাকরির অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে আজও কর্মচারীদের বিক্ষোভ
  • গুমের ঘটনা তদন্তে জাতিসংঘের সহযোগিতা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
  • সব জেলায় অসহায় মানুষের কল্যাণে হবে সেবামূলক মেলা
  • লেবাননে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের যে বার্তা দি‌ল দূতাবাস
  • ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধিদলের বৈঠক

ট্রেন চলাচল বন্ধে ভোগান্তিতে যাত্রীরা

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত:
২৮ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৩২

মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন এবং আনুতোষিক সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে জটিলতা নিরসন না হওয়ায় রানিং স্টাফরা কর্মবিরতিতে যাওয়ায় স্টেশনে আজ চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে।

এদিকে রানিং স্টাফদের কর্মবিরতির ঘোষণার পর থেকে স্টেশন এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।



অপরদিকে অধিকাংশ যাত্রীরা দীর্ঘক্ষণ ধরে ট্রেনের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকায় ও গন্তব্যে যাওয়ার জন্য ট্রেন না পাওয়ায় তাদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) কমলাপুর স্টেশন ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

এদিকে সকালে স্টেশনের সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শনে এসে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, গতকাল রাত ১২টা থেকে ট্রেনের রানিং স্টাফরা কর্ম বিরতিতে গিয়েছে। এর ফলে ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে। আমরা গতকাল রাত ১০টা পর্যন্ত তাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করি। সে আলোচনায় আমাদের সঙ্গে রেলের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক শ্রমিক সংগঠনের নেতারা এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ছিলেন। তাদের দাবিগুলো ইতোমধ্যে আমরা রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ বিভাগে পাঠিয়েছি। পাশাপাশি তাদের দাবিগুলো বহুল অংশ পূরণ করা হয়েছে এবং এখনো কিছু দাবি বাকি আছে।

 

তিনি বলেন, যাত্রীদের ভোগান্তি যাতে কম হয় সেজন্য ইতোমধ্যে গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছি। এরপরও কোনো যাত্রী যদি স্টেশনে আসেন তাদের সুবিধা বিবেচনা করে আমরা বিআরটিসি বাসের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। যাতে করে রেলের যে রুটগুলো আছে সেখানে যাত্রীরা যেতে পারেন।

তিনি বলেন, স্টাফদের দাবির বিষয়ে আমাদের আলোচনার দরজা সব সময় খোলা আছে। প্রয়োজনে আমরা তাদের সঙ্গে আবারও আলোচনা করব এবং অর্থ বিভাগেও তাদের এই দাবি দেওয়া নিয়ে আলোচনা করব। তবে এটা দুঃখজনক যে এতগুলো যাত্রীকে জিম্মি করে এ ধরনের কর্মসূচি করা। এতে সাধারণ মানুষই বেশি ভোগান্তিতে পড়ছে।

তিনি বলেন, স্টাফদের যে দাবি মাইলেজ অ্যালাউন্সের দাবি তা দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ আছে। তাদের এই দাবির অনেক অংশ আমরা ইতোমধ্যে পূরণ করেছি। বাকি দাবিগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করতে প্রস্তুত আছি। রেলওয়ে তো কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি না, এখানে আলোচনার সুযোগ আছে। রেল বন্ধের ফলে কিন্তু সরকারের অসুবিধা হচ্ছে না, অসুবিধা হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। আমরা চাই এর সমাধান দ্রুত হোক। কারণ সামনে ইজতেমা আছে।

এসময় বিআরটিসির চেয়ারম্যান বলেন, কমলাপুর ও এয়ারপোর্ট স্টেশনে যাত্রীদের জন্য দশটি করে মোট ২০টি গাড়ি প্রস্তুত আছে। প্রয়োজন হলে বাস আরও বাড়ানো হবে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর