বুধবার, ৩০শে এপ্রিল ২০২৫, ১৭ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলার হাইকোর্টের রায় ৮ মে
  • বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর বিতরণ করবেন প্রধান উপদেষ্টা
  • সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরাও উচ্চতর গ্রেড পাবেন
  • ঢাকার বাতাস আজ খুব অস্বাস্থ্যকর
  • স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর কারিগরি শিক্ষা হবে মূল বিষয়
  • মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
  • কোম্পানির মুনাফার জায়গা গোখাদ্য হতে পারে না
  • রাখাইনে ‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব
  • যুদ্ধাবস্থায় আছি, পুলিশকে সজাগ থাকতে হবে
  • গত ১৫ বছর পুলিশকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করা হয়েছিল

বাজারে এবার বাড়ল মসুর ডালের দাম

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত:
২৩ আগষ্ট ২০২৩, ১৫:০৫

বাজারে প্রতিনিয়তই কোনো না কোনো ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ছেই। ডিম ও পেঁয়াজের দামে অস্থিরতার পর এবার বেড়েছে মসুর ডালের দাম। চলতি সপ্তাহে খুচরা পর্যায়ে সব ধরনের মসুর ডালের দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে। নিম্ন আয়ের মানুষ যখন মাছ, মাংস ও ডিম কিনতে হাঁসফাঁস করছেন, তখন ডালের এই বাড়তি দাম তাঁদের সংসার খরচ আরও বাড়িয়ে দেবে।

 মঙ্গলবার(২২ আগষ্ট) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মোটা, মাঝারি ও চিকন দানা—এই তিন রকমের মসুর ডালের দাম খুচরায় কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে। অন্যান্য ডালের দাম অবশ্য স্থিতিশীল আছে। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজারদরের তালিকা বিশ্লেষণ করেও একই চিত্র মিলেছে। সংস্থাটির হিসাবে মোটা ও মাঝারি দানার মসুর ডালের দাম গত এক মাসে যথাক্রমে ৩ ও ৪ শতাংশ বেড়েছে। বাজারে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় মসুর ডাল। গত সপ্তাহেও প্রতি কেজি মোটা মসুর ডাল ৯০ থেকে ৯৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। সেই ডালের কেজি এখন ৯৫ থেকে ১০০ টাকা। মাঝারি দানার মসুর ডালের কেজি ১১০-১১৫ থেকে বেড়ে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায় উঠেছে। আর ভালো মানের, অর্থাৎ সরু দানার মসুর ডালের কেজি পড়ছে এখন ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা। গত সপ্তাহে এই ডালের খুচরা দাম ছিল ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা কেজি।

রাজধানীর শাহজাহানপুর বাজারের ফেনী জেনারেল স্টোরের স্বত্বাধিকারী আজহার উদ্দিন বলেন, মসুর ডালের দাম চার-পাঁচ দিন আগে থেকে কিছুটা বাড়তি। তাতে সব ধরনের মসুর ডাল কেজিতে ৫ টাকার মতো বেড়েছে। তবে সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। অন্য কোনো ডালের দাম বাড়েনি।

বাজারে খোলা মসুর ডালের পাশাপাশি সুপারশপ বা বড় দোকানগুলোয় প্যাকেটজাত ডাল পাওয়া যায়। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রতি কেজি প্যাকেটজাত মসুর ডাল ১৪৫ থেকে ১৭০ টাকা বিক্রি হয়। মানভেদে মুগডাল বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৩০ টাকায়। ‘শৌখিন ডাল’ হিসেবে খ্যাত মাষকলাই এখন ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ছোলার ডাল মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। আর নিম্ন আয়ের মানুষের ডাল হিসেবে পরিচিত অ্যাংকর ডালের দাম পড়ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি।আমদানিকারকেরা বলছেন, ডাল আমদানিতে ঋণপত্র (এলসি) খোলার ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে বাজারে ডালের দাম আগেই বেড়েছিল। এখন নতুন করে আমদানি ব্যয় বেড়েছে। তাতে মসুর ডালের দাম একটু বাড়তির দিকে। তবে বাজারে সরবরাহের কোনো সংকট নেই। তাতে বাজারে বড় ধরনের অস্থিতিশীলতার সুযোগ কম।

পুরান ঢাকার ডাল আমদানিকারক ও বাংলাদেশ ডাল ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন  বলেন, বিশ্ববাজারে আগে যেখানে প্রতি টন ডালের দাম ছিল ৯০০ ডলার, তা এখন ১ হাজার ডলারের ওপরে। তাতে আমদানি খরচ বেড়েছে। আর আমদানি ঋণপত্র খোলা নিয়েও জটিলতা এখনো কমেনি।

দেশে সাধারণত অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও নেপাল থেকে বিভিন্ন ধরনের ডাল আমদানি হয়ে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে ভারত থেকেও ডাল আমদানি শুরু হয়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) দেশভিত্তিক কৃষিপণ্য উৎপাদনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, স্বাধীনতার পর মসুর ডালের উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষ দশে ছিল। পরে বাংলাদেশ পিছিয়ে যায়। অবশ্য এখন আবার যুক্তরাষ্ট্র, ইথিওপিয়া, রাশিয়া ও চীনকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ ষষ্ঠ অবস্থানে উঠেছে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর