রবিবার, ১৫ই জুন ২০২৫, ৩১শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • জুলাই সনদ নিয়ে ১৭ জুন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসছে কমিশন
  • মামলার চাপ কমাতে আপস-মধ্যস্থতা বাধ্যতামূলক করা গুরুত্বপূর্ণ
  • দেশজুড়ে অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ১৪৫২ জন
  • মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিতে সিভিল প্রসিডিউর কোড সংশোধন হচ্ছে
  • সিলেটের কোনো পাথর কোয়ারি আর লিজ দেওয়া হবে না
  • এপিবিএন পাবে ভারি অস্ত্র, পুলিশের কাছে থাকবে না মারণাস্ত্র
  • ঈদের ১০ দিনের ছুটি শেষে রোববার খুলছে অফিস-আদালত
  • গরম নিয়ে সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস
  • দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • শোক জানিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে বার্তা ড. ইউনূসের

জুলাই বিপ্লবে বিরোধিতার অভিযোগ

আওয়ামীপন্থী শিক্ষককে ধাওয়া দিলেন ইবি শিক্ষার্থীরা

ইবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত:
১১ মার্চ ২০২৫, ১৬:৫২

জুলাই আন্দোলনে বিরোধিতা এবং বিপ্লবের পরবর্তী সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন উস্কানিমূলক পোস্ট করার অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) মানবসম্পদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সভাপতি শহীদুল ইসলামকে ক্যাম্পাসে ধাওয়া দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ (১১ মার্চ) মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ১২টায় প্রশাসন ভবনে ভর্তি সংক্রান্ত একটি মিটিংয়ে অংশ নেন বিভাগীয় সভাপতিরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা মিটিং রুমের বাইরে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগ-সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় আওয়ামীপন্থী শিক্ষকেরা সভাকক্ষ থেকে বের হয়ে প্রস্থান করেন।

সভাকক্ষ প্রস্থান করার সময় মানবসম্পদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সভাপতি শিক্ষক শহীদুল ইসলাম প্রশাসন ভবন থেকে বের হয়ে ভ্যানে উঠে বিভাগের উদ্দেশে রওনা হন। এ সময় পেছন থেকে শিক্ষার্থীরা শহীদুল ইসলামকে ধাওয়া দেন। পরে তিনি বিভাগের সভাপতির কক্ষে অবস্থান নেন। বিভাগীয় সভাপতির কক্ষের বাইরে তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেয় শিক্ষার্থীরা। পরে প্রক্টরিয়াল বডির মধ্যস্থতায় তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গাড়িতে করে নিরাপদে ক্যাম্পাস থেকে নিয়ে যাওয়া হয়।

শিক্ষার্থীরা জানান, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদুল ইসলাম প্রকাশ্যে বিরোধিতা করেন। ওই সময় শাপলা ফোরামের ব্যানারে করা মিছিলে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তিনি এখনো আওয়ামী লীগের পক্ষে নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণা চালান। গত ৭ মার্চও উস্কানিমূলক পোস্ট করেন তিনি। সভাপতি পদ থেকে দ্রুত অপসারণের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মানবসম্পদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আপাতত রেস্টে যাবে বলায় নিরাপদে পৌঁছে দিলাম।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর