শনিবার, ১৪ই জুন ২০২৫, ৩১শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • জুলাই সনদ নিয়ে ১৭ জুন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসছে কমিশন
  • মামলার চাপ কমাতে আপস-মধ্যস্থতা বাধ্যতামূলক করা গুরুত্বপূর্ণ
  • দেশজুড়ে অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ১৪৫২ জন
  • মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিতে সিভিল প্রসিডিউর কোড সংশোধন হচ্ছে
  • সিলেটের কোনো পাথর কোয়ারি আর লিজ দেওয়া হবে না
  • এপিবিএন পাবে ভারি অস্ত্র, পুলিশের কাছে থাকবে না মারণাস্ত্র
  • ঈদের ১০ দিনের ছুটি শেষে রোববার খুলছে অফিস-আদালত
  • গরম নিয়ে সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস
  • দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • শোক জানিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে বার্তা ড. ইউনূসের

সোনাদিয়ার ৯৪৬৭ একর জমি রক্ষিত এলাকা ঘোষণা করবে বন বিভাগ

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত:
১৭ মার্চ ২০২৫, ১৭:৩৯

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার সোনাদিয়ার পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় নয় হাজার ৪৬৭ একর জমি বন বিভাগের অনুকূলে হস্তান্তরের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ইকো-ট্যুরিজম পার্ক স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) অনুকূলে বরাদ্দকৃত জমি বন বিভাগের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।

রবিবার (১৬ মার্চ) বেজার পরিচালক (বিনিয়োগ উন্নয়ন ও মনিটরিং-১) শাহীন আক্তার সুমী কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছেন। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা দীপংকর বরের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইকো পার্কের জন্য বরাদ্দকৃত জমিতে অবৈধভাবে গাছ কাটা, চিংড়িঘের নির্মাণসহ পরিবেশ বিধ্বংসী কার্যক্রম চলায় দ্বীপের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। এ অবস্থায়, বরাদ্দকৃত জমি বন বিভাগের অনুকূলে হস্তান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ৯ হাজার ৪৬৭ একর বনভূমির পরিবেশ পুনরুদ্ধারে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে।

ওই কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে, জবরদখলমুক্ত করা, খালের মুখ ও শাখা-শাখার বাঁধ অপসারণ করে জোয়ারের পানি প্রবেশ সুগম করা, বালিয়াড়ী পুনরুদ্ধার ও বিচ সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ, জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধারে বিভিন্ন ম্যানগ্রোভ ও নন-ম্যানগ্রোভ, কাউ, কেয়া, নিশিন্দা, নারিকেল, তাল এবং ঘটিভাঙ্গার সঙ্গে সংযোগকারী রাস্তায় বনায়ন কার্যক্রম সম্পাদন করা হবে এবং অবক্ষয়িত ম্যানগ্রোভ বন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হবে।

এছাড়া, জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে ৯ হাজার ৪৬৭ একর বনভূমিকে রক্ষিত এলাকা ঘোষণা করা হবে। ফলে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষিত হবে, অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ হবে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর