শনিবার, ১৪ই জুন ২০২৫, ৩১শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • শোক জানিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে বার্তা ড. ইউনূসের
  • দুর্গত এলাকায় খাদ্যসংকট নিরসনে বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছে সরকার
  • ‘বিদেশে সম্পদ পাচারে অভিযুক্ত ধনকুবেরদের সঙ্গে ‘সমঝোতার’ কথা ভাবছে বাংলাদেশ’
  • বিচারপতির বাসভবন, সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
  • মে মাসে ৫৯৭ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬১৪
  • তারেক রহমান চাইলেই দেশে আসতে পারেন
  • প্রধান উপদেষ্টা আজ কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করবেন
  • পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা নিয়ে যা জানালেন প্রেস সচিব
  • পাচারকৃত অর্থ পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করল যুক্তরাজ্য
  • ঢাকার বাতাস আজ ‘সহনীয়’

সাইকেলে ১০০ দেশ ঘুরতে চান তিনি

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
২৬ মার্চ ২০২৫, ১১:৪৯

২০১৩ সাল থেকে সাইকেলে ভ্রমণ করছেন লি ডংজুছবি

ভ্রমণ নেশার মতো। একবার স্বাদ পেয়ে গেলে আপনি নিজেকে থামাতে পারবেন না—কথাগুলো বলেছেন চীনের ৬৬ বছর বয়সী নারী লি ডংজু। বয়স হলেও এখনো নিজেকে যেন তরুণ ভাবেন এই নারী। এরই মধ্যে সাইকেলে একা একা ১২টি দেশ ভ্রমণ করে ফেলেছেন তিনি।

লি-র বাড়ি চীনের জেংজোওতে। তিনি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, ইউরোপ এবং ওশেনিয়ায় ঘুরে বেড়িয়েছেন। গেছেন কম্বোডিয়া, ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়ায়।

সিএনএন ট্রাভেলকে ওই নারী বলেন, ‘আমার লক্ষ্য অন্তত ১০০ দেশে ভ্রমণ করা। ভ্রমণ হলো নেশার মতো। একবার আপনি এর স্বাদ পেয়ে গেলে নিজেকে আর থামাতে পারবেন না।’

লি-র এই দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়ানো সব সময় কিন্তু সহজ হয় না। তিনি শুধু মান্দারিন ভাষায় কথা বলতে পারেন। বিভিন্ন দেশে স্থানীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করতে তাঁকে ভাষান্তরের বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করতে হয়।

লিকে টাকাপয়সা নিয়েও ভাবতে হয়, টানাটানি থাকে বাজেটে। ফলে যাত্রাপথে তিনি পার্কে, গ্যাস স্টেশনে এমনকি কবরস্থানেও ক্যাম্প করে থাকছেন।

লি চীনের ‘সিলভার ট্রাভেলার্স’ গ্রুপের সদস্য। বিবাহবিচ্ছেদের পর বিষণ্নতা পেয়ে বসেছিল তাঁকে। বিষণ্নতা থেকে মুক্তি পেতে ২০১৩ সালে ভ্রমণ শুরু করেন এই নারী।

লি বলেন, ‘সাইকেল চালানো শুরুর আগে আমি মারাত্মকভাবে অন্যদের ওপর নির্ভরশীল ছিলাম...নিজেকে আমার দেয়াল আঁকড়ে থাকা ব্যাঙ মনে হতো। এখন আমি বুনো হায়েনার মতো মুক্ত, ভয়হীন এবং স্বাধীন।’

লি-র ছেলে তাঁকে ভাঁজ করা যায় এমন একটি সাইকেল কিনে দিয়েছেন। নিজের অবসরভাতার ওপর নির্ভর করে জীবন যাপন করছেন লি। তিনি মাসে চীনা মুদ্রায় ৪১৪ মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ অবসরভাতা পান। প্রথম দীর্ঘ সফরে তিনি তিব্বত যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সে সময় তাঁর হাতে মাত্র সাড়ে ২৩ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ অর্থ ছিল।

লি একটি টেক্সটাইল কারখানায় কাজ করতেন। ২০০২ সালে লে-অফে তাঁর চাকরি যায়। তার পর থেকে তিনি অবসরভাতার ওপর নির্ভর করে চলছেন।

বাড়তি অর্থ উপার্জনের জন্য লি এক বছর একটি বাড়িতে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেছেন। প্রয়োজনীয় অর্থ জমা হওয়ার পর তিনি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সফরে বেরিয়ে পড়েন। তাঁর সাইকেলের চাকা এখনো ঘুরছে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর