শনিবার, ১৪ই জুন ২০২৫, ৩১শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • শোক জানিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে বার্তা ড. ইউনূসের
  • দুর্গত এলাকায় খাদ্যসংকট নিরসনে বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছে সরকার
  • ‘বিদেশে সম্পদ পাচারে অভিযুক্ত ধনকুবেরদের সঙ্গে ‘সমঝোতার’ কথা ভাবছে বাংলাদেশ’
  • বিচারপতির বাসভবন, সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
  • মে মাসে ৫৯৭ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬১৪
  • তারেক রহমান চাইলেই দেশে আসতে পারেন
  • প্রধান উপদেষ্টা আজ কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করবেন
  • পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা নিয়ে যা জানালেন প্রেস সচিব
  • পাচারকৃত অর্থ পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করল যুক্তরাজ্য
  • ঢাকার বাতাস আজ ‘সহনীয়’

তরুণদের প্রতি ড. ইউনূসের আহ্বান

‘চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হও’

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত:
২৯ মার্চ ২০২৫, ১৪:৫৯

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্মানসূচক ডক্টরেট গ্রহণ করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের দারিদ্র্য দূরীকরণে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি দেশের তরুণদের প্রতি চাকরি না খুঁজে উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া তার ভাষণে তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়তে আমাদের প্রধান লক্ষ্য দারিদ্র্যমুক্তি, কিন্তু এই পথে অসংখ্য বাধা রয়েছে যা কাটিয়ে উঠতে সবার অংশগ্রহণ প্রয়োজন।

ড. ইউনূস তার বক্তব্যে তরুণদের উদ্দেশ্যে বলেন, চাকরি হচ্ছে আধুনিক দাসপ্রথার নামান্তর। মানবসত্তা স্বাধীন, তাই তোমাদের উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে হবে। বাংলাদেশের তরুণরা প্রতিনিয়ত সুযোগের জন্য সংগ্রাম করছে, কিন্তু বর্তমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থা তাদেরকে দমিয়ে রাখছে।

তিনি আরও যোগ করেন, প্রতিটি নাগরিকের ভালো প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে চাকরি পাওয়ার অধিকার আছে। কিন্তু চাকরি সৃজনশীলতাকে ধ্বংস করে। আমাদের নতুন পথ খুঁজতে হবে।

চার দিনের চীন সফরের শেষ দিনে ড. ইউনূস এই ভাষণ দেন। তার এই সফরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়েছে, যেখানে তিস্তা প্রকল্পসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার তিনি বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া সম্মেলনেও বক্তৃতা দিয়েছিলেন।

অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ড. ইউনূসের এই বক্তব্য বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কাঠামো পুনর্গঠনের একটি রোডম্যাপ তুলে ধরে। তবে তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এই লক্ষ্য অর্জনে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ও নীতিগত পরিবর্তন অপরিহার্য।

উল্লেখ্য, ড. ইউনূসের এই সফরকে বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের সূচনা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর