শনিবার, ১৪ই জুন ২০২৫, ৩১শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • শোক জানিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে বার্তা ড. ইউনূসের
  • দুর্গত এলাকায় খাদ্যসংকট নিরসনে বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছে সরকার
  • ‘বিদেশে সম্পদ পাচারে অভিযুক্ত ধনকুবেরদের সঙ্গে ‘সমঝোতার’ কথা ভাবছে বাংলাদেশ’
  • বিচারপতির বাসভবন, সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
  • মে মাসে ৫৯৭ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬১৪
  • তারেক রহমান চাইলেই দেশে আসতে পারেন
  • প্রধান উপদেষ্টা আজ কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করবেন
  • পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা নিয়ে যা জানালেন প্রেস সচিব
  • পাচারকৃত অর্থ পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করল যুক্তরাজ্য
  • ঢাকার বাতাস আজ ‘সহনীয়’

দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে এবার প্রকাশ্যে মুখ খুললেন টিউলিপ সিদ্দিক

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
৩ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৪

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে ও লন্ডনের এমপি টিউলিপ সিদ্দিক বলেছেন, বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রশ্নের উত্তর দিতে তার ‘আইনজীবীরা প্রস্তুত'। সম্প্রতি ব্রিটিশ সম্প্রচারমাধ্যম স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে আপাতত সম্পর্কের বিষয়ে কোনো অনুশোচনা আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে টিউলিপ সিদ্দিক বলেন, ‘আপনারা আমার আইনি চিঠিটি দেখুন এবং দেখুন আমার কোনো প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার আছে কিনা... (বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ) একবারের জন্যও আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি, কিন্তু তাদের কাছ থেকে শোনার অপেক্ষায় করছি।’

লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড ও হাইগেট আসনের এই এমপি গত জানুয়ারিতে ট্রেজারিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। তখন বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি দুর্নীতি তদন্তে তার নাম উঠে আসে। পরে বিরোধীদের ব্যাপক চাপের মুখে তিনি পদত্যাগ করেন।

সরকার ছাড়ার পর এই প্রথম প্রকাশ্যে মন্তব্য করলেন টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি বলেন, ‘মাসখানেক হয়ে গেল অভিযোগ উঠেছে, কিন্তু (বাংলাদেশের) কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।’ এর আগে গত মাসে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস স্কাই নিউজকে বলেছিলেন, টিউলিপ সিদ্দিক দেশে সম্পদ রেখে গেছেন এবং তার এ জন্য জবাবদিহি করা উচিত।’

এদিকে টিউলিপ সিদ্দিকের আইনজীবীরা বেশ কয়েক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) চিঠি লিখে বলেছিলেন, অভিযোগগুলো ‘মিথ্যা ও হয়রানিমূলক’। চিঠিতে বলা হয়, দুদককে ‘২০২৫ সালের ২৫ মার্চের মধ্যে অথবা তার আগে’ টিউলিপ সিদ্দিককে প্রশ্ন করতে হবে, অন্যথায় ‘আমরা ধরে নেব যে, উত্তর দেওয়ার মতো কোনো বৈধ প্রশ্ন নেই।’

টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো মূলত তার খালা শেখ হাসিনার সঙ্গে সম্পর্কের ওপর কেন্দ্র করে তৈরি। হাসিনা প্রায় ২০ বছর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। গত আগস্টে সারা দেশে তার বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী বিক্ষোভের পর তিনি দেশ ছাড়তে বাধ্য হন।

হাসিনার বিরুদ্ধে স্বৈরাচারী হওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। তার শাসনামলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গ্রেফতার, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং ক্ষমতার অন্যান্য অপব্যবহার নিয়মিত ঘটেছে। তবে হাসিনা দাবি করেছেন, পুরোটাই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।

এদিকে, টিউলিপ সিদ্দিক লন্ডনের যে কয়টি বাড়িতে বসবাস করতেন, সেগুলোর সঙ্গে তার খালার দল আওয়ামী লীগের যোগসূত্র পাওয়া গেছে। অবশ্য অভিযোগ ওঠার পর তিনি নিজেকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর মান নিয়ন্ত্রক উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাসের জিম্মায় তুলে দেন, অভিযোগগুলো তদন্তের জন্য।

স্যার লরি ম্যাগনাস সে সময় বলেছিলেন, তিনি ‘কোনো অনিয়মের প্রমাণ পাননি’ তবে যোগ করেন, তার খালার সঙ্গে সম্পর্কের ‘সম্ভাব্য সুনামগত ঝুঁকি’ সম্পর্কে টিউলিপ সিদ্দিকের আরও সতর্ক না হওয়া ‘দুঃখজনক’। টিউলিপ সিদ্দিক বলেন, তার পদে থাকা সরকারের জন্য ‘বিচ্যুতি’ তৈরি করবে। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, তিনি কোনো ভুল করেননি।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর