বৃহঃস্পতিবার, ১২ই জুন ২০২৫, ২৯শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • শোক জানিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে বার্তা ড. ইউনূসের
  • দুর্গত এলাকায় খাদ্যসংকট নিরসনে বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছে সরকার
  • ‘বিদেশে সম্পদ পাচারে অভিযুক্ত ধনকুবেরদের সঙ্গে ‘সমঝোতার’ কথা ভাবছে বাংলাদেশ’
  • বিচারপতির বাসভবন, সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
  • মে মাসে ৫৯৭ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬১৪
  • তারেক রহমান চাইলেই দেশে আসতে পারেন
  • প্রধান উপদেষ্টা আজ কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করবেন
  • পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা নিয়ে যা জানালেন প্রেস সচিব
  • পাচারকৃত অর্থ পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করল যুক্তরাজ্য
  • ঢাকার বাতাস আজ ‘সহনীয়’

চীনা ইস্পাত আমদানি রুখতে ভারতের ১২ শতাংশ শুল্ক আরোপ

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
২২ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১৬

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অপরিশোধিত ইস্পাত উৎপাদক ভারত সোমবার চীন থেকে আমদানি হওয়া কিছু ইস্পাত পণ্যের ওপর অস্থায়ীভাবে ১২ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে।

স্থানীয়ভাবে ‘সেফগার্ড ডিউটি’ নামে পরিচিত এই শুল্ক কার্যকর থাকবে ২০০ দিন, যদি না সরকার আগেভাগেই তা প্রত্যাহার বা পরিবর্তন করে।

চীনা সস্তা ইস্পাতের ঢল সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতের কিছু ইস্পাত মিলকে উৎপাদন কমাতে ও কর্মী ছাঁটাইয়ের কথা চিন্তা করতে বাধ্য করেছে। ভারত ছাড়াও আরও কিছু দেশ নিজেদের দেশীয় শিল্পকে বাঁচাতে আমদানি নিয়ন্ত্রণে এমন ব্যবস্থা বিবেচনা করছে।

ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয় এক সরকারি আদেশে বলেছে, এই শুল্ক সোমবার থেকেই কার্যকর হচ্ছে। এটি মূলত চীনা আমদানির বিরুদ্ধে একটি বড় বাণিজ্য নীতিগত পদক্ষেপ, যা এমন সময় নেওয়া হলো যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত এপ্রিলে বিভিন্ন দেশের ওপর ব্যাপক শুল্ক আরোপ করে চীনের সঙ্গে একটি তিক্ত বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করেছেন।

তবে ভারতের ইস্পাত আমদানির বিষয়ে উদ্বেগ এই সাম্প্রতিক ঘটনাবলির আগেই শুরু হয়। চলমান তদন্ত শুরু হয়েছিল গত ডিসেম্বরে।

ভারতের ইস্পাতমন্ত্রী এইচ. ডি. কুমারস্বামী এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এই পদক্ষেপ দেশীয় ইস্পাত নির্মাতাদের সুরক্ষা দেবে এবং বাজারে ন্যায্য প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলো সস্তা আমদানির কারণে প্রচণ্ড চাপে রয়েছে। এই শুল্ক তাদের জন্য তাৎক্ষণিক স্বস্তি বয়ে আনবে।’

২০২৪–২৫ অর্থবছরে দক্ষিণ কোরিয়ার পর চীন ছিল ভারতে ইস্পাত রপ্তানিতে দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। সেই আমদানি রুখতেই মূলত এই শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।

এক শীর্ষস্থানীয় ভারতীয় ইস্পাত মিলের এক নির্বাহী বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাশিতই ছিল। এখন আমরা দেখব, এটি কীভাবে দেশীয় শিল্প ও তাদের মুনাফা রক্ষা করে এবং সস্তা আমদানি কতটা সীমিত করতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘চীনা আমদানির প্রভাব প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে গোটা বিশ্বেই পড়ছে।’

প্রাথমিক সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪–২৫ অর্থবছরে ভারত পরপর দ্বিতীয় বছরের মতো পরিশোধিত ইস্পাত আমদানিকারক ছিল। এ সময়ের মধ্যে আমদানি বেড়ে ৯.৫ মিলিয়ন মেট্রিক টনে পৌঁছায়, যা গত নয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

জেএসডব্লিউ স্টিল, টাটা স্টিল, স্টিল অথরিটি অব ইন্ডিয়া এবং আর্সেলরমিত্তাল নিপ্পন স্টিল ইন্ডিয়াসহ ভারতের শীর্ষ ইস্পাত প্রস্তুতকারকদের সংগঠন বারবার আমদানি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং সরকারকে নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর