বৃহঃস্পতিবার, ১২ই জুন ২০২৫, ২৯শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • শোক জানিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে বার্তা ড. ইউনূসের
  • দুর্গত এলাকায় খাদ্যসংকট নিরসনে বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছে সরকার
  • ‘বিদেশে সম্পদ পাচারে অভিযুক্ত ধনকুবেরদের সঙ্গে ‘সমঝোতার’ কথা ভাবছে বাংলাদেশ’
  • বিচারপতির বাসভবন, সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
  • মে মাসে ৫৯৭ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬১৪
  • তারেক রহমান চাইলেই দেশে আসতে পারেন
  • প্রধান উপদেষ্টা আজ কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করবেন
  • পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা নিয়ে যা জানালেন প্রেস সচিব
  • পাচারকৃত অর্থ পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করল যুক্তরাজ্য
  • ঢাকার বাতাস আজ ‘সহনীয়’

মাভাবিপ্রবিতে কুয়েট ভিসির পদত্যাগের বিরুদ্ধে আন্দোলন

বিজয় সরকার, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত:
২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৭:১২

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) কুয়েটের উপাচার্য ড. মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় একাডেমিক ভবনের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রধান ফটকে গিয়ে শেষ হয়। কর্মসূচিতে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী।

সাধারণ শিক্ষার্থীরা এক বিবৃতিতে বলেন, কুয়েট প্রশাসনের স্বৈরাচারী আচরণ শুধু শিক্ষার পরিবেশকেই কলুষিত করছে না, বরং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও মৌলিক অধিকারও হুমকির মুখে ফেলছে। তারা কুয়েট প্রশাসনের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও দমনমূলক আচরণের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন।

মাভাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা কুয়েট আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্তও গ্রহণ করেছেন। বিক্ষোভ চলাকালে তারা “কুয়েট ভিসির গদিতে আগুন জ্বালো একসাথে”, “দফা এক দাবি এক, কুয়েট ভিসির পদত্যাগ”, “শিক্ষা ও সন্ত্রাস একসাথে চলে না”—এমন বিভিন্ন স্লোগানে ক্যাম্পাস মুখর করে তোলেন।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, কুয়েটের উপাচার্য ড. মাছুদ স্বৈরাচারী ও কর্তৃত্ববাদী মনোভাব নিয়ে পরিচালনা করছেন বিশ্ববিদ্যালয়, যা মুক্ত চিন্তা ও গণতান্ত্রিক পরিবেশের পরিপন্থী। তার প্রশাসন একটি দমন-পীড়নের সংস্কৃতি তৈরি করেছে বলেও তারা উল্লেখ করেন।

শিক্ষার্থীরা বলেন, “গণতান্ত্রিক শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় প্রশাসনের জবাবদিহিতা এবং শিক্ষার্থীদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা অপরিহার্য। ড. মাছুদের মতো উপাচার্যের মাধ্যমে তা কখনোই সম্ভব নয়।”

তারা কুয়েট ভিসির অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌথ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়, যাতে আহত হন অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী। পরবর্তীতে একের পর এক বিক্ষোভ, হল বন্ধ, শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার এবং সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলন আরও তীব্র হয়ে ওঠে।বর্তমানে কুয়েটের পরিস্থিতি থমথমে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর