প্রকাশিত:
২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৪:০৯
কুষ্টিয়ায় আদালতের আদেশকে অমান্য করে জমিদখল করে বহুতল বিল্ডিং বাড়ি নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে চরথানা পাড়া এলাকার হাসানুজ্জামান সুজনের বিরুদ্ধে। কুষ্টিয়া অতিরিক্ত সহকারী জজ আদালতে ১২১৯/২১নংদেওয়ানী মামলায় মাননীয় বিচারক মহাদয়ের আদেশ আমলে না নিয়ে নিজের পেশীশক্তি দেখিয়েছে বিবাদী।
জানা গেছে, কুষ্টিয়া সদর থানা পাড়া এলাকার মৃত শেখ মোহাম্মাদ পিরু এর বড় কণ্যা সৌদিয়া সিমি শ্রাবনী তার পিতার নিকট থেকে ৬ লাখ টাকার বিনিময়ে ক্রয় সুত্রে মজমপুর মৌজার দাগ নং ৯৫৩, জেএল নং আরএস-২৩, খতিয়ান নং আরএস-৮৩৩, খারিজ নং ৮৩৩/৩ এর ০.০০১৫৫অংশ জমির দলিল মুলে মালিক হন। উক্ত জমিতে বিরোধ সৃষ্টি হলে-গত ১০ এপ্রিল কুষ্টিয়া অতিরিক্ত সহকারী জজ আদালতের ১২১৯/২১নং এক দেওয়ানী মামলায় মাননীয় বিচারক মহাদয়ের উক্ত স্থানে কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন।
অপরদিকে মামালার বাদি-বর্তমানে সৌদিয়া সিমি শ্রাবনী নিজ এলাকায় অবস্থান না করার সুযোগে প্রতিবেশি হাসানুজ্জামান সুজন বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিয়ে নানাভাবে অত্যাচারে করে জোরপুর্বক জমির কিছু অংশ দখল করে বহুতলা বিশিষ্ট বিল্ডিং নির্মান করছে। উল্লেখ্য যে হাসানুজ্জামান সুজনে ও সৌদিয়া সিমি শ্রাবনী উভয়েই সহোদর ভাই বোন হলেও হাসানুজ্জামান সুজনের ভয়ে ভীত হয়ে এলাকায় নিজ ক্রয় করা জমিতে আসতে পারছেন না তিনি।
এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া জজকোটের অ্যাডভোকেট আলমগীর হোসেন জানান ১০ এপ্রিল ২০২৫ইং তারিখে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত সহকারী জজ আদালতের মাননীয় বিচারক মহাদয় উক্ত জমিতে পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত সকল নির্মানাধীন কাজের কার্যক্রম নিষেধ করেছে। কেউ যদি তা না মানে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইন অবমাননার ব্যবস্থা গ্রহন করা যেতে পারে।
এ ব্যাপারে হাসানুজ্জামান সুজনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হতে তিনি বলেন- আমি ঢাকায় থাকি। আমার মা নির্মান শ্রমিকদের সাথে নিয়ে কাজ করছেন। আইন না মেনে কৌশলে নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলে আমি এ ব্যাপারে মিডিয়াতে কথা বলতে চাইনা ।
মামলার বাদি ভুক্তভোগি সৌদিয়া সিমি শ্রাবনী বলেন-তারা এতোটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে দেশের আইনে মানছে না। এর আগে সে থানা পুলিশ কেও গালিগালাজ করেছে। আমার বাবার নিকট থেকে ক্রয় করা শেষ স্মৃতি এই ভিটাবাড়ি জমিটি রক্ষার জন্য আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে সঠিক তদন্তে মাধ্যমে বিচার দাবি করছি। হাসানুজ্জামানতার দলবল নিয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি এবং নিজের জমিতে যাওয়ার সাহস হারিয়ে ফেলেছি।
মন্তব্য করুন: