বৃহঃস্পতিবার, ১২ই জুন ২০২৫, ২৯শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • তারেক রহমান চাইলেই দেশে আসতে পারেন
  • প্রধান উপদেষ্টা আজ কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করবেন
  • পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা নিয়ে যা জানালেন প্রেস সচিব
  • পাচারকৃত অর্থ পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করল যুক্তরাজ্য
  • ঢাকার বাতাস আজ ‘সহনীয়’
  • নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতা হস্তান্তর করাই সরকারের একমাত্র লক্ষ্য
  • ১৭ বছর পর বাংলাদেশে ইতিহাসের সুন্দর নির্বাচন হবে
  • ড্রেজার চালানোর ফলে পদ্মা নদীর আশপাশের এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে
  • যুক্তরাজ্যের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
  • শ্রম অধিকার সুরক্ষায় আরও নিবিড়ভাবে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ

ইবির ল’ অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগে মুট কোর্ট অনুষ্ঠিত

ইবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত:
২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৫:১৮

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আইন অনুষদভুক্ত ল’ এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মুট কোর্ট ও মক ট্রায়াল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিভাগটির ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ হোসেন ভবনে এ মুট কোর্ট অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক মেহেদী হাসানে সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা কোর্টের চীফ জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট মাসুদ আলী, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ ও সিনিয়র অ্যাডভোকেট আবু তালেব। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাহিদা আখতার ও বিভাগের অন্যান্য শিক্ষার্থীরা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ আলী বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী আইন অঙ্গণে ভালো করেছে। যেহেতু দেশে বিদেশে ভালো ভালো পদে আসীন আছেন। এখন আর মাদ্রাসা বলার সুযোগ নাই। মাদ্রাসা বলে ট্যাগিং করাটা যে মিথ্যা তা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই প্রমাণ করে দিবে। আইন একটা রসকষহীন সাবজেক্ট। আমাদের একটু সমস্যা হয় যে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে থিওরি পড়াশোনা করি। কিন্তু আমাদের প্রাকটিক্যাল অভিজ্ঞতা থাকে না। তাই এ মুট কোর্টের মাধ্যমে একটা অভিজ্ঞতা তৈরি হয়। আইন পড়ে তোমরা কেউ ভুল করোনি। আইন পেশা মানুষকে সেবা করার একটি অনন্য মাধ্যম। একটু পরিশ্রম করে লেগে থাকলে এই পেশায় সফল হওয়া যায়। তোমরা যারা সিনিয়র আছো তারা জুনিয়রদের শেখাবে। যোগ্য হতে হলে পরিশ্রম করতে হবে। কিন্তু এর সংক্ষিপ্ত কোনো রাস্তা নেই।

সহকারী অধ্যাপক সাহিদা আখতার বলেন, আপনারা সবাই বিচারক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হয়েছেন। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথ অনেক কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। আমাদের গর্বের বিষয় হলো, এই বিভাগ থেকে ইতোমধ্যেই দুইজন শিক্ষার্থী বিচারক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। তারা আমাদের বিভাগের জন্য একটি অনন্য অর্জন এবং আপনাদের জন্য প্রেরণার উৎস। তাদের সাফল্য প্রমাণ করে, ইচ্ছা ও পরিশ্রম থাকলে আপনাদেরও সেই স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব।

সভাপতির বক্তব্যে মেহেদী হাসান বলেন, আজকের এই আয়োজনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা প্রায়োগিক জ্ঞান অর্জন করতে পারেবে। বাস্তব জীবনে প্রায়োগিক জ্ঞানই সবচেয়ে বেশি কার্যকরী। আমাদের বিভাগের শুরুতে বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা ছিলো। এখন সেইসব সীমাবদ্ধতা আমরা মোটামুটি কাটিয়ে উঠেছি। আমাদের শিক্ষার্থীরা এখনই বাংলাদেশের বিভিন্ন কোর্টে কর্মরত রয়েছে। অনেক শিক্ষার্থী সহকারী জজ হিসেবে উত্তীর্ণ হয়েছে। আমাদের বিভাগের সকলের সহযোগিতার মাধ্যমে বিভাগ এগিয়ে যাবে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর