সোমবার, ৯ই জুন ২০২৫, ২৬শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • ওয়ারেন্ট না থাকায় আবদুল হামিদকে গ্রেপ্তার করা হয়নি
  • কেন এপ্রিলেই নির্বাচন, ব্যাখ্যা দিলেন প্রেস সচিব 
  • আজ থেকে যমুনা ও সচিবালয় এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
  • প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাজ্য সফরে যাচ্ছেন আজ
  • মধ্যরাতে দেশে ফিরলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ
  • ৮ বিভাগেই বজ্রবৃষ্টির আভাস
  • ডিসিপ্লিন মানলেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে যানজট-আইনশৃঙ্খলা
  • দুর্নীতিবাজরা নেই, তাই গরুর দাম কম
  • তেলের দাম কমানো হয়েছে, বাসে বাড়তি ভাড়া নিলেই ব্যবস্থা
  • বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা পেল সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল

নেতানিয়াহুর সঙ্গে বিরোধ

পদত্যাগ করছেন ইসরায়েলের গোয়েন্দা প্রধান 

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪৮

ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান সামরিক অভিযান ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কয়েক সপ্তাহ ধরে মতবিরোধ ও দ্বন্দ্বের জেরে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা-শিন বেতের প্রধান রোনেন বার। 

সোমবার (২৮ এপ্রিল) পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। আগামী ১৫ জুন দায়িত্ব ছাড়বেন বলে জানিয়েছেন রোনেন। 

নিরাপত্তা সংস্থার পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে শিন বেত প্রধান বলেন, আমি আমার ৩৫ বছরের চাকরিজীবনের ইতি টানছি। আগামী ১৫ জুন আমি পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই সময়সীমার মধ্যে একজন যোগ্য ও পেশাদার উত্তরসূরিকে বেছে নেওয়া এবং তার হাতে দায়িত্ব অর্পণ করা হবে।

অবশ্য, ছয় সপ্তাহ আগেই রোনেন বারকে শিন বেত থেকে বরখাস্ত করার চেষ্টা করেছিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

ইসরায়েলে সন্ত্রাসবিরোধী তদন্ত পরিচালনাকারী শিন বেত বর্তমানে একটি ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক বিরোধের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস যে নজিরবিহীন সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছিল, সেটির প্রধান তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকায় ছিল শিন বেত। ওই হামলার পর থেকেই সংস্থাটি নেতানিয়াহুর ডানপন্থি জোট সরকার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের সদস্য থেকে শুরু করে গাজায় আটক জিম্মিদের পরিবারের মতো সমালোচকদের মুখোমুখি।

এর মধ্যেই গত ১৬ মার্চ নেতানিয়াহু প্রকাশ্যে বলেন, অনেক দিন আগেই তিনি রোনেনের ওপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন। নেতানিয়াহু আরও বলেছিলেন যে রোনেন যদি তার স্বীয় পদে বহাল থাকেন, তাহলে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান এবং সরকারি কর্মকর্তাদের নিরাপত্তায় তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন তিনি।

এরপর রোনেনকে চাকরিচ্যুত করার চেষ্টাও করেছিলেন নেতানিয়াহু। কিন্তু দেশজুড়ে প্রতিবাদ ও তীব্র সমালোচনার পর সেই চেষ্টা থেকে বিরত হতে হয় তাকে। পরে ইসরায়েলের সুপ্রিমকোর্ট রোনেনকে চাকরিচ্যুত করার চেষ্টার ওপর স্থগিতাদেশ দেন।

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর