সোমবার, ৯ই জুন ২০২৫, ২৬শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • আজ থেকে যমুনা ও সচিবালয় এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
  • প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাজ্য সফরে যাচ্ছেন আজ
  • মধ্যরাতে দেশে ফিরলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ
  • ৮ বিভাগেই বজ্রবৃষ্টির আভাস
  • ডিসিপ্লিন মানলেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে যানজট-আইনশৃঙ্খলা
  • দুর্নীতিবাজরা নেই, তাই গরুর দাম কম
  • তেলের দাম কমানো হয়েছে, বাসে বাড়তি ভাড়া নিলেই ব্যবস্থা
  • বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা পেল সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল
  • চার দিনের সফরে যুক্তরাজ্য যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • গুমের ঘটনা নিয়ে একটি হরর মিউজিয়াম হওয়া উচিত

প্রধান উপদেষ্টা

চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির হৃদপিণ্ড

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত:
১৪ মে ২০২৫, ১১:৪০

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম সফরে এসেছেন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (১৪ মে) সকালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন প্রধান উপদেষ্টা।

শুরুতেই তিনি দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম পরিদর্শন করেন এবং নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) ৫ নম্বর ইয়ার্ডে বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দিকনির্দেশনা দেন।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বহুদিন থেকে আসবো, সবার সঙ্গে দেখা করে অগ্রগতি জানবো তার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। চট্টগ্রাম বন্দর আমার কাছে অপরিচিত জায়গা না। এখানে বড় হয়েছি। বরাবরই এত দুঃখ, এটার পরিবর্তন এত শ্লথ কেন। এটা আজকের প্রশ্ন নয়, চট্টগ্রামবাসী হিসেবে চলার পথে দেখেছি। ট্রেন মিস করে ফেলেছি। মাঝেমধ্যে লেখালেখি করেছি এটা নিয়ে। প্রথম দিন থেকে চেষ্টা করছি, কীভাবে এটার পরিবর্তন করা যায়। একটা সত্যিকার বন্দর হিসেবে তৈরি করতে হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি পাল্টাতে হবে। তাহলে চট্টগ্রাম বন্দর ভরসা। এটা বাদ দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির নতুন অধ্যায়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। এ পথ খুলতে হবে। চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির হৃদপিণ্ড। ছোট্ট হৃদপিণ্ড, তার মধ্যে রোগাক্রান্ত। রক্ত সঞ্চালন হবে না। বন্দর নামের হৃদপিণ্ড বিশ্বমানের হতে হবে। অর্থনীতি সচল হবে। সারা দেশের জিনিস এখান দিয়ে বিদেশে চলে যাবে। বন্দর আরও আছে। কিন্তু এখান থেকেই সমস্ত কিছু নিয়ন্ত্রিত হবে। পৃথিবীর সেরা বন্দরগুলোকে ডাকা হয়েছে। নেপালের হৃদপিণ্ড নেই। আমাদের হৃদপিণ্ড দিয়ে তাদেরও চলতে হবে। তারাও লাভবান হবে আমরাও লাভবান হবো। এ হৃদপিণ্ড বাদ দিলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অর্থনীতির রক্ত সঞ্চালন হবে না।

তিনি বলেন, আমাদের মতো দেশে, একটা বন্দর কয়েকটা টার্মিনাল নিয়ে কথা বলছি। এ রকম ২০-৩০টা বন্দর টার্মিনাল অনেক দেশের আছে। আমাদের হৃদপিণ্ড দিয়ে রোগী বেশি দিন টিকবে না। কাজেই এটাকে শক্তিশালী করতে হবে। এটাই চ্যালেঞ্জ।

নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ড. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমি অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত প্রধান উপদেষ্টা বন্দর পরিদর্শনে এসেছেন। যদিও উনার শৈশব থেকে বন্দরকে দেখেছেন। গত আট মাসে আমি বহুবার এখানে এসেছি। যখনি বন্দরের প্রকল্প নিয়ে গেছি প্রধান উপদেষ্টা একবাক্যে পাস করে দিয়েছেন। উনার মমত্ববোধ আছে বন্দর নিয়ে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর