শুক্রবার, ১৩ই জুন ২০২৫, ৩০শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • শোক জানিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে বার্তা ড. ইউনূসের
  • দুর্গত এলাকায় খাদ্যসংকট নিরসনে বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছে সরকার
  • ‘বিদেশে সম্পদ পাচারে অভিযুক্ত ধনকুবেরদের সঙ্গে ‘সমঝোতার’ কথা ভাবছে বাংলাদেশ’
  • বিচারপতির বাসভবন, সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
  • মে মাসে ৫৯৭ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬১৪
  • তারেক রহমান চাইলেই দেশে আসতে পারেন
  • প্রধান উপদেষ্টা আজ কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করবেন
  • পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা নিয়ে যা জানালেন প্রেস সচিব
  • পাচারকৃত অর্থ পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করল যুক্তরাজ্য
  • ঢাকার বাতাস আজ ‘সহনীয়’

বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস

বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিস্থিতির উন্নতি হবে

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত:
১২ জুন ২০২৫, ১৬:৪৮

আগামী অর্থবছরে বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটির এ পূর্বাভাসের পেছনে দুটি অনুমান রয়েছে। প্রথমত, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে উন্নতি। দ্বিতীয়ত, ব্যবসা পরিবেশের উন্নতি এবং কর্মসংস্থান বাড়াতে সংস্কারের সফল বাস্তবায়ন। বিশ্বব্যাংকের অনুমান বাস্তবে রূপ নিলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি চলতি অর্থবছরের চেয়ে বাড়বে।

বিশ্বব্যাংকের গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টস বা বিশ্ব অর্থনীতির সম্ভাবনা শিরোনামের এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সম্পর্কে এমন পূর্বাভাস রয়েছে। গত মঙ্গলবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। বিশ্বব্যাংক প্রতি ছয় মাস অন্তর ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টস’ প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যেখানে বিশ্ব অর্থনীতির পাশাপাশি অঞ্চল ও দেশভিত্তিক পর্যালোচনা এবং পূর্বাভাস থাকে। বিশ্বব্যাংক বলেছে, বাণিজ্য বাধা ও নীতি অনিশ্চয়তার প্রভাবে ২০২৫ সালে বিশ্ব অর্থনীতিতে মাত্র ২ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে, যা ২০০৮ সালের বিশ্বমন্দার পর সর্বনিম্ন।

বিশ্বব্যাংক গত জানুয়ারিতে প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশে মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির ৪ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন করেছিল। জুনের প্রতিবেদনে তা কমিয়ে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ নির্ধারণ করেছে। এর আগে গত এপ্রিলে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ প্রতিবেদনে একই প্রাক্কলন ছিল। তবে সম্প্রতি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) চলতি অর্থবছরে সাময়িক হিসাবে ৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির তথ্য প্রকাশ করেছে।

বিশ্বব্যাংক সর্বশেষ প্রতিবেদনে আগামী অর্থবছরে ৪ দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে। ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ প্রতিবেদনে একই পূর্বাভাস ছিল। তবে গত জানুয়ারির ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টস’ প্রতিবেদনে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ছিল ৫ দশমিক ৪ শতাংশ। অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রতি যে বাজেট পেশ করেছে, সেখানে আগামী অর্থবছরে সাড়ে ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির অনুমান করেছে।

বিশ্বব্যাংক মনে করছে, ২০২৬-২৭ অর্থবছরে গিয়ে প্রবৃদ্ধি আরও বেড়ে দাঁড়াবে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। সরকারের অনুমান হলো সাড়ে ৬ শতাংশ। বিশ্বব্যাংক আগামী দুই অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি বাড়ার পূর্বাভাসের পেছনে মূল্যস্ফীতি কমে আসার প্রবণতাকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে। মূল্যস্ফীতি কমে ব্যক্তি খাতে ভোগ ব্যয় বাড়বে, যা প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সহায়ক হবে।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সুদহার বাড়ানোর পর বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। কিন্তু এখনও তা লক্ষ্যমাত্রার পর্যায়ে নামেনি। আগামী অর্থবছরে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি আরও কমতে পারে। মূল্যস্ফীতি কমলে মুদ্রানীতির সংকোচনমূলক অবস্থানের পরিবর্তন হতে পারে। সুদহার বাড়ানোর ফলে ব্যাংকের ঋণ প্রবৃদ্ধি কমে গেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। সরকারি ব্যয় প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী অর্থবছরে সরকারের মূলধন ব্যয় কমতে পারে। অন্যদিকে বাড়তে পারে চলতি ব্যয়।

গত এপ্রিলে প্রকাশিত বাংলাদেশের ওপর আলাদা প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক বলেছিল, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, অপর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং শিল্প এলাকায় শ্রম অসন্তোষ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক হওয়ার পথে মূল তিনটি বাধা। অন্যদিকে চলতি অর্থবছরের শুরুতে আন্দোলন এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাবে বিনিয়োগ ও শিল্প খাতের কার্যক্রমে ধীরগতি, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, অর্থায়ন সংকোচনসহ বিভিন্ন কারণে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমে যেতে পারে। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগের প্রভাবে আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি বাড়তে পারে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর